বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Kaushik Ganguly: ‘পাঠান’-এর পাশাপাশি বাংলা ছবিও দেখার অনুরোধ, পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্য়ায়

Kaushik Ganguly: ‘পাঠান’-এর পাশাপাশি বাংলা ছবিও দেখার অনুরোধ, পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্য়ায়

বাংলা ছবি নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়

Kaushik Ganguly: বাংলায় বাংলা ছবিরই জায়গা নেই! ‘পাঠান’ মুক্তির আগে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একাধিক বাংলা ছবি প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সবর হয়েছে টলিউড। বলিউড ছবি চলার নিয়ম নিয়ে ‘পাঠান’ মুক্তির আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসেছিলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। কী বললেন তিনি?

দেশজুড়ে ‘পাঠান’ জ্বরে কাবু দর্শক। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে ছবি। বুধবার সকাল থেকে রমরমিয়ে ‘পাঠান’ ব্যবসা করলেও, বেজায় বিপাকে বাংলা ছবি। কারণ, দেশের যে যে প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’ মুক্তি পাবে, সেই সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে অন্য কোনও ছবি চলবে না। মুম্বইয়ে বসে এই শর্তই রেখেছেন ‘পাঠান’ নির্মাতারা। ফলে হল মালিকদের কাছে কোণঠাসা হয়েছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একাধিক বাংলা ছবি।

বাংলায় বাংলা ছবিরই জায়গা নেই! ‘পাঠান’ মুক্তির আগে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একাধিক বাংলা ছবি প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সবর হয়েছে টলিউড। বলিউড ছবি চলার নিয়ম নিয়ে ‘পাঠান’ মুক্তির আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসেছিলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘কাবেরী অন্তর্ধান’। তবে এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র তাঁর ছবি নয়, একাধিক বাংলা ছবি এবং বাংলা ছবির পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক-অভিনেতা।

বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে ইতিমধ্যে ‘কাবেরী অন্তর্ধান’-এর জন্য হাউজফুল বোর্ড ঝুলেছে। কিন্তু অভিযোগ, 'পাঠান'-এর ডিস্ট্রিবিউটররা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, যে সমস্ত সিঙ্গল স্ক্রিনে 'পাঠান' চলবে, সেখানে চালানো যাবে না আর কোনও বাংলা ছবি। এরপরই মঙ্গলবার টানা ১৯ মিনিট ফেসবুক লাইভে ছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। লাইভে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন অভিনেতা-পরিচালক। আরও পড়ুন: বাংলায় বাংলা ছবিরই জায়গা নেই! বলিউড ছবি চলার নিয়ম নিয়ে সরব অভিনেতা সাহেব

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আজ সারাদিন ছবির প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। আর ব্যস্ত ছিলাম দুশ্চিন্তা নিয়ে। আমাদের ছবি কাবেরী অন্তর্ধান যা আপনাদের খুব ভালো লাগছে, তা আজ চতুর্থ দিনে পড়ল। আগামী কাল ৫ দিন হবে। কাল আবার এক বড় ছবি মুক্তি পাচ্ছে, ছবির নাম পাঠান। আমরা এমন কেউ নেই যে পাঠান দেখব না। পাঠান দেখতেই হবে। এতো বড় ছবি শাহরুখ খানের মতো স্টারের, এতো বছর পর মুক্তি পাচ্ছে, সবাই উৎকণ্ঠায় আছেন’।

তবে অভিনেতা-পরিচালক জানিয়েছেন, ‘যেটা বলবার বিষয়, বলিউডের বড় বড় প্রযোজকেরা সিঙ্গল স্ক্রিনগুলিকে একটি শর্ত দিয়ে পাঠান। ছবি নিলে সব শো-এ আমাদের ছবি চলতে হবে। তাঁরা বলছেন না যে বাংলা ছবি চালিও না। কিন্তু প্রত্যেকটা শো-তে যদি ওদের ছবি না চালানো হয়, তবে সে ছবি ওরা দেবে না। ভেবে দেখবেন, যে ছবি হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করবে, ভোর পাঁচটার শো-ও হাউসফুল হবে, এক্সিকিউটিভদের পক্ষে তা সম্ভব নয়, এমন একটা সুযোগ হাতছাড়া করা। নিরুপায় হয়ে তাঁদের ছবিতে হ্যাঁ বলতে হচ্ছে। কয়েকজন ব্যতিক্রমও আছেন। তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ’।

তিনি বলেছেন, ‘যে সমস্ত হল মালিকেরা শাহরুখ খানের ছবি চালাচ্ছেন, তাঁদের অবস্থাটাও আমরা বুঝতে পারছি। ওরকম ছবি ভোর ৫টার শো-তেও হাউজফুল হয়ে যাবে। সমস্যা আমাদের তাঁদেরকে নিয়ে নয়। সমস্যা এই ডিস্ট্রিবিউটরদের নিয়ে। যাঁদের হাতে সারা দেশজুড়ে ১০ হাজারটা থিয়েটর। আমাদের হাতে মাত্র ৪০ থেকে ৫০টা থিয়েটর মাত্র। এখানেও যদি আমরা দেখাতে না পারি, তবে বাংলা ছবি কোথায় গিয়ে দেখাব। তাহলে বাংলা ছবি বেজিং, রেঙ্গুন নাকি নিয়ারাগুয়া গিয়ে চালাব? এটা কিন্তু মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুতে সম্ভব হয়। সবথেকে অবাক কাণ্ড হল, শাহরুখ খান তো আমাদের বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর, আমার মনে হয় তিনি নিজেও জানেন না যে এমনটা হচ্ছে। সেখানকার ভাষার ছবি সমস্যার মুখে। তবে এই প্রথম নয়, বিসর্জনের সময় অ্যাভেঞ্জার্স-এরও একই অবস্থা হয়েছিল। আমাদের প্রেক্ষাগহগুলি তো আর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই’।

দর্শকের উদ্দেশে পরিচালক-অভিনেতার অনুরোধ, ‘যে শো-ই পাচ্ছেন আপনারা দেখুন। ১২টার শো হলে ১২টায় দেখুন। নয়তো পরের সপ্তাহে শুনব, টিকিট বিক্রি হয়নি তুলে দেওয়া হল। খারাপ লাগে যখন এতো পরিশ্রম করে একটা ছবি বানানোর চেষ্টা করি, যখন দেখি সেই ছবি নিজের জায়গাতেই দেখাতে পারছি না ভীষণ কষ্ট হয়। এই সাত দিনের লড়াইয়ের জন্য আমার এই ভিডিয়োটা করা’।

বন্ধ করুন