এবারে কাবেরী অন্তর্ধান ছবিটির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। ১৬ অগস্ট সেই কথা ঘোষিত হয়েছে। তিনি এই ছবিটির পরিচালনা করেছিলেন। আবার অভিনয়ও। আর এই সম্মান পাওয়ার পরই তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে কী জানালেন?
কী জানিয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়?
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর এই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'আমি জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করছি। অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে কাবেরী অন্তর্ধান ছবিটির জন্য সেরা বাংলা ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করছি। আমি গীতা টিমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন এই আনন্দের খবর পাওয়া সত্বেও আমরা উদযাপনের মুডে নেই। উদযাপন করতে পারছি না। বাংলার যা বর্তমান অবস্থা তাতে এটা সম্ভব নয়।'
তিনি এদিন একই সঙ্গে জানান, ' কাবেরী অন্তর্ধানের গল্পটি আবর্তিত হয়েছে দুজন মেয়েকে নিয়ে, তাঁদের নিজ নিজ সমস্যা নিয়ে। দুই মেয়ের ভাগ্য তাঁদের কোন পথে নিয়ে যায় সেটা নিয়েই ছিল এই ছবি। আর এখন বাংলাতেও যেন সেই জিনিস ঘটে গেল। আরজি করের এই মহিলা চিকিৎসকের ভবিষ্যৎ কী হয়, তিনি ন্যায় বিচার পান কিনা সেটার দিকেই মুখিয়ে আছে জনগণ। ফলে কোথাও যেন বিষয়টা গিয়ে সিনেমার সঙ্গে মিশে গেছে। তাই এখন উদযাপন, আনন্দের এতটুকু মুড নেই।'
কাবেরী অন্তর্ধান প্রসঙ্গে
কাবেরী অন্তর্ধান ছবিটি ১৯৭০ এর দশকের নক্সাল আন্দোলনের সময়কে প্রেক্ষাপটে রেখে তৈরি করা হয়েছিল। এটি একটি থ্রিলার ছবি। এখানে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, প্রমুখ।
প্রসঙ্গত কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এর আগেও দুটো জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১২ সালে শব্দ ছবিটির জন্য সেরা বাংলা ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান। আর ২০১৬ সালে বিসর্জন ছবিটির জন্য ওই একই বিভাগে পুরস্কার পান। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত শেষ ছবি হল অযোগ্য। এই ছবিটিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শিলাজিৎ মজুমদার।