'লক্ষ্মী ছেলে'। কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আখ্যান। যে আখ্যান তৈরি করেছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই প্রথম তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন ছেলে উজান গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম জন ক্যামেরার নেপথ্যে, দ্বিতীয় জন সামনে।
পিতার পরিচালনায় পুত্রের অভিনয়। একে কি নেপোটিজম বলা চলে? প্রশ্ন করতেই কৌশিকের উত্তর, 'আমি তো এই ছবিতে উজানকে নিইনি। প্রযোজকরা ওকে ওই চরিত্রে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, অন্য কোনও পেশার ক্ষেত্রে কেন স্বজনপোষণের প্রসঙ্গ আসে না? শৈশব থেকে বাড়িতে কোনও কিছুর চল দেখলে, তার প্রতি ভালোবাসা জন্মানোই তো স্বাভাবিক!'
কৌশিকের সুর উজানের কথায়। অভিনেতা জানান, পেশাগত ক্ষেত্রে মা-বাবার সাহায্য ছাড়াই এগিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'মা-বাবার সঙ্গে আমি শুরু থেকে কাজ করিনি। স্কুল-কলেজে থিয়েটার করেছি। অডিশন দিয়ে 'রসগোল্লা'য় অভিনয়ের সুযোগ পাই। ২০১৩ সালে স্কুলের একটি নাটকে শিবুদা (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়) এবং নন্দিতাদি (নন্দিতা রায়) আমাকে দেখেছিলেন। তখনই ওঁরা আমায় নিয়ে কাজ করার কথা ভাবেন।'
(আরও পড়ুন: 'সমাজসেবার জন্য বাংলা ছবি দেখবেন না', বক্স অফিসে সাফল্যের পথ বাতলে দিলেন কৌশিক)
উজান মনে করেন, একজন অভিনেতা শুধু মাত্র ভালো কাজের মাধ্যমেই দর্শক-মনে জায়গা করে নিতে পারেন। তার জন্য তারকা-অভিভাবকের সাহায্যের দরকার পড়ে না।
(আরও পড়ুন: আমি উজানকে নিইনি, প্রযোজকরা ওকে দেখতে চেয়েছেন: স্বজনপোষণ নিয়ে কৌশিক)
২০১৮ সালে বড় পর্দায় হাতেখড়ি হয় উজানের। পাভেল পরিচালিত 'রসগোল্লা'য় অভিনয় করেন তিনি। প্রশংসিতও হয়েছিলেন। এর পরেই 'লক্ষ্মী ছেলে'-তে পিত-পুত্রের যুগলবন্দি। কৌশিক বলেন, 'যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৪ বছর। আমার সঙ্গে কাজ করতে উজান ২১ বছর অপেক্ষা করেছে। স্বজনপোষণ করলে অনেক আগেই ও সেই সুযোগ পেত। কৌশিকী দেশিকানের ছেলে গান গাইছে, কৌশিক সেনের ছেলে ঋদ্ধি সেন নাটক করছে। এটা স্বজনপোষণ নয়, চর্চা।'