জমিয়ে চলছে 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'-র ১৩ নম্বর সিজন।সোম থেকে শুক্র সোনি টিভিতে সম্প্রচারিত হয় এই গেম শো। পাশাপাশি সোনি লিভ অ্যাপ এবং জিও টিভি-তে দেখা যায় কৌন বনেগা ক্রোড়পতি। সেই শো-তেই এবার হট সিটে বসা প্রতিযোগীর মায়ের নাম জয়া শুনেই লজ্জায় লাল হলেন অমিতাভ বচ্চন।
কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'-র শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল একটি বিশেষ পর্ব। ওই পর্বে 'ফাস্টেস্ট ফিঙ্গার ফার্স্ট' রাউন্ডে জয়ী হয়ে 'বিগ বি'-র উল্টোদিকে রাখা সিটে হাজির হয়েছিলেন কৃষিভ খান্ডেলওয়াল। তাঁকে অভিবাদন জানিয়ে স্বল্প কথায় তাঁর পরিচয় বাতলে অমিতাভ বলে ওঠেন, 'ইন্দোরে জন্মালেও বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মুম্বই শহরেই পরিবারের সঙ্গে থাকছে সে। এই অনুষ্ঠানে কৃষিভের সঙ্গে হাজির হয়েছে তাঁর মা এবং বাবা। আসুন, তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করা যাক'। ১১ বছরের প্রতিযোগী কৃষিভের বাবা জানান তাঁর নাম পীযূষ খান্ডেলওয়াল। তাঁর কথা শেষ হতেই কৃষিভের মা নিজের পরিচয় দেওয়ার সময় জানান তাঁর নাম জয়া খান্ডেলওয়াল।
কৃষিভের মায়ের নাম শুনেই চমকে ওঠেন 'শাহেনশাহ'। অস্ফুট স্বরে বলে ওঠেন, 'জয়া...ওহো..বাহ্ বেশ সুন্দর নাম তো...জয়া..' বলতে বলতে লজ্জায় লাল হয়ে মুখ নামিয়ে মিটিমিটি হেসে ওঠেন অমিতাভ। লেখাই বাহুল্য, এ কথা কারওর অজানা নয় যে অমিতাভ-পত্নীর নাম জয়া বচ্চন। সুতরাং, মুহূর্তের জন্য 'বিগ বি'-র চমকে উঠে লজ্জা পাওয়ার কারণ এক্ষেত্রে সহজেই অনুমেয়। যাই হোক, এরপর গলা খাঁকরে, জোরে হাততালি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন কেবিসি-র হোস্ট। দ্রুত খেলা শুরু হয়। অবশ্য খেলা শুরু করার আগে কৃষিভ জানায় এই বয়সেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তাঁর মেধার জন্য ৩৩টি মেডেল পুরস্কার পেয়েছে সে। এবং ভবিষ্যতে মানবকল্যাণের জন্যই বিজ্ঞানচর্চা করতে চায় সে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালের ৩ জুন সাত পাকে বাঁধা পড়েন অমিতাভ এবং জয়া। সেই হিসেবে দেখতে গেল ৪৮ বছরের ওপর সময় ধরে জমিয়ে সংসার করছেন তাঁরা। যদিও জয়ার সঙ্গে অমিতাভের পরিচয় বিয়ের বেশ কয়েক বছর আগেই হয়েছিল। ১৯৭১ সালে 'গুড্ডি' ছবির সুবাদেই প্রথমবার অন স্ক্রিন একসঙ্গে এসেছিলেন এই জুটি। এরপর অবশ্য, 'সিলসিলা', 'অভিমান', 'মিলি', 'শোলে' এর মতো কালজয়ী ক্লাসিক ছবিতে একসঙ্গে জুটি বেঁধেহাজির হয়েছেন তাঁরা।