ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অভিনেতা এবং সুপারস্টারের তকমা বহু বছর আগেই তাঁর নামের পাশে জুড়ে গেছে। তিনি, অমিতাভ বচ্চন। বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি, মহাকাব্যিক জনপ্রিয়তা এবং অর্থ দু'হাত ভরে পেয়েছেন তিনি। তবে তা সত্বেও আজও একটি আফসোস তাঁর রয়ে গেছে। বহু বছর ধরে তা কুরে কুরে খেয়েছে তাঁকে। এই প্রথম সেই কথা কেবিসি-র মঞ্চ থেকে শেয়ার করলেন বলিউডের 'শাহেনশাহ'।
কেবিসি-র প্রতিযোগী নম্রতা শাহ-এর সঙ্গে আলাপচারিতার ফাঁকে কথায় কথায় অমিতাভ জানান যে তাঁর দুই সন্তান শ্বেতা এবং অভিষেক যখন বড় হচ্ছিল তখন একেবারেই তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেননি তিনি। যদিও এমনটি নয় যে তিনি চাইতেন না। আসলে সেই সময়ে ভারতের সবথেকে ব্যস্ততম তারকা ছিলেন তিনি। সারাদিন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতেন। প্রায় সময়ই তিন শিফটে কাজ থাকত। ফলে বেশ ভোরে যখন বাড়ি থেকে বেরোতেন তখন তাঁর দুই সন্তান ঘুমিয়ে থাকত। আবার গভীর রাতে যখন কাজের পাট চুকিয়ে বাড়ি ফিরতেন অমিতাভ, ততক্ষণে রাতের খাবার শেষ করে বিছানায় গভীর ঘুমে এলিয়ে পড়ত শ্বেতা এবং অভিষেক। 'সিনিয়র বচ্চন' এর কথায়, 'সেইসময় বড্ড কষ্ট পেতাম এই ব্যাপারটি নিয়ে। বহুদিন পর্যন্ত ভিতরে খারাপ লাগাটা জমেছিল। কিন্তু এখন ঠিক আছে, অনেকটাই ঠিক আছি'।
গল্প আড্ডার ফাঁকে ওই প্রতিযোগীকে অমিতাভ জানান যে নিজের কর্মজীবনের শুরুতে কলকাতায় একটি অফিসে চাকরি করতেন তিনি। কিন্তু মন ছিল অভিনয়ের দিকে। তাই সবকিছু ছেড়েছুড়ে তিনি যখন মুম্বইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার কথা নিজের পরিবারকে জানিয়েছিলেন, এককথায় তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিলেলন তাঁরা। এমনকি প্রথম প্রথম বলিপাড়ায় যখন সেভাবে সুযোগ পাচ্ছিলেন না, প্রযোজক-পরিচালকেরা ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন তখন তারকার বাবা তথা বিখ্যাত কবি হরিবংশ রাই বচ্চন একটি দারুণ উপদেশ দিয়েছিলেন তাঁর ছেলেকে। নিজেই সেকথা জানালেন 'বিগ বি'। বললেন, 'বাবুজী বলতেন যখন তুমি কোনও ঘরে ঢুকতে চাইছ অথচ দেখছ সেই ঘরের সবকটা দরজা বন্ধ, তখন একেবারে দেওয়াল ভেঙে ঢুকে পড়বে!'