জমিয়ে চলছে 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'-র ১৩ নম্বর সিজন। সোম থেকে শুক্র সোনি টিভিতে সম্প্রচারিত হয় এই গেম শো। পাশাপাশি সোনি লিভ অ্যাপ এবং জিও টিভি-তে দেখা যায় কৌন বনেগা ক্রোড়পতি। ছোটপর্দায় রমরমিয়ে চলছে কেবিসি-র ওই নতুন সিজন। এবারের কেবিসি-র চলতি সিজন আরও ঝলমলে, আরও রঙিন, আরও মজার।
সম্প্রতি, কেবিসি-র এপিসোডে ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে থেকে হাজির হয়েছিলেন শিবশঙ্কর দেবাগণ। প্রশ্নোত্তর পর্বের ফাঁকে তাঁর সঙ্গে গল্প-আড্ডা দেওয়ার সময় জয়া বচ্চনের সঙ্গে নিজের প্রেমপর্বের বিষয়ে বলতে গিয়ে লজ্জায় লাল হলেন অমিতাভ বচ্চন। এতটাই লজ্জা এপিলেন মুখের কথাটুকু পর্যন্ত শেষ করতে পারলেন না। তার আগেই মাথা নিচু করে লজ্জায় হেসে ফেললেন 'বিগ বি'। শুরু থেকেই শুরু করা যাক। খেলা চলার ফাঁকে কথাবার্তা চলার সময় শিবশঙ্কর অমিতাভকে জানান যে কীভাবে হবু স্ত্রীয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল এবং এরপর তাঁদের দুই পরিবার সমন্ধ করে তাঁদের বিয়ে দিয়েছিল। গল্পের গন্ধ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছিলেন অমিতাভ। কৌতূহলী হয়ে ওই প্রতিযোগীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর মতে ভালোবেসে কাউকে বিয়ে করা এবং সমন্ধ করে বিয়ে করার মধ্যে প্রধান পার্থক্যটা কী।
জবাবে হাসতে হাসতে শিবশঙ্কর জানান যে সমন্ধ দেখে বিয়ে করা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ত্রী এক গলা ঘোমটা দিয়ে তাঁর স্বামীর থেকে লজ্জায় দূরে দূরে দাঁড়িয়ে থাকেন। যদিও তাঁদের বিয়েও সমন্ধে করে তবু তাঁদের যা জমজমাট রসায়ন তা দেখে কেউ ভাবতেই পারবেন না বিয়ের আগে তাঁরা পরস্পরকে তেমনভাবে চিনতেন না। এতটাই 'বিন্দাস' তাঁদের বিবাহোত্তর জীবন। প্রতিযোগীর মুখে ওই কথার জের টেনে 'শাহেনশাহ'-ও বলে ওঠেন তাঁর ও জয়া বচ্চনেরও ভালোবেসে বিয়ে করে ফেলার কথা। প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে 'জঞ্জির' ছবি মুক্তি পাওয়ার পরপর বাস্তব জীবনেও সাত পাকে বাঁধা পড়েন ছবির নায়ক-নায়িকা অমিতাভ ও জয়া। তার আগে অবশ্য বছর কয়েক চুটিয়ে প্রেম করে ফেলেছিলেন তাঁরা।
'দেখুন মশাই সত্যি বলতে কী নিজের ক্ষেত্রে আমি মোটেই জানি না এই সমন্ধে করে বিয়ে হওয়ার বিষয়টি। কারণ আমার জীবনে....' বলতে বলতে মুখ ঘুরিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে মুখ উল্টোদিকে ঘুরিয়ে হেসে ফেলেন অমিতাভ। স্বয়ং 'শাহেনশাহ'-র ওই অবস্থা দেখে ততক্ষণে হাসিতে ফেটে পড়েছে শো-তে উপস্থিত থাকা দর্শকের দল। দর্শকের তরফে এহেন ব্যবহার পেয়ে ততক্ষণে লজ্জায় আরও কুঁকড়ে গেছেন অমিতাভ। হাসতে হাসতে নিজের মুখ ঢেকে ফেলেন তিনি। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসি চেপে কোনওরকমে তিনি বলে ওঠেন, 'এই হচ্ছে মুশকিল বুঝলেন তো। এতো আবেগে ভেসে যাই যে কী বলব!'