কৌন বনেগা ক্রোড়পতির ১৩ নম্বর সিজন শুরু হয়েছে গত মাসেই।চলতি সপ্তাহেই সোনি টিভির এই গেম শো-এর চলতি সপ্তাহের ‘শানদার শুক্রবার’ এপিসোডে হাজির হবেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী এবং 'স্ক্যাম: ১৯৯২' সিরিজ খ্যাত অভিনেতা প্রতীক গান্ধী। কেবিসি-র ১৩ নম্বর সিজনের এই বিশেষ এপিসোডটি শুক্রবার অর্থাৎ ১ অক্টোবর সম্প্রচার হবে।শো চলাকালীন হাসি ঠাট্টা যেমন চলল, তেমনই উঠে এল মনে রাখার মতো এক মুহূর্তও।
ইতিমধ্যেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে কেবিসির এই এপিসোডের যে নয়া প্রমো সামনে আনা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে শো-তে প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হওয়ার আগে নিজের স্ট্রাগলের দিনগুলোর কথায় স্মৃতিমেদুর হলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। অমিতাভ বচ্চনকে সেই বিষয়ে গল্প করার ফাঁকে কোনও রাখঢাক না করে 'মির্জাপুর' সিরিজ খ্যাত এই অভিনেতা সরাসরি জানিয়ে দিলেন যে ওই কঠিন সময়ে তাঁকে মুম্বইয়ে আন্ধেরি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রাত কাটাতে না হওয়ার একমাত্র কারণ তাঁর স্ত্রী মৃদুলা ত্রিপাঠী। তাঁর স্ত্রীয়ের অদম্য মনোবেল, অমানুষিক পরিশ্রম তো ছিলই পাশাপাশি সংসারের প্রধান আয় তখন তিনি ই করতেন। এইভাবেই এক হাতে সংসার তো সামলে রেখেইছিলেন, সঙ্গে পঙ্কজকেও বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন।
পঙ্কজ আরও বলেন, 'আমি মুম্বই আসি ২০০৪ সালে। আর প্রথম বড় ব্রেক পাই ২০১২ সালের গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর ছবিতে। এই মাঝখানের ৮ বছর ধরে দর্শক চিনতই না আমাকে। ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আমার কোনও রোজগার ছিল না! নিজের লোকেরাও জানতেন না কী করছি আমি। তবে এটুকু আমি বলতে পারি ওই কঠিন সময়কেও সাংঘাতিক কঠিন মনে হয়নি আমার। তাঁর একমাত্র কারণ আমার স্ত্রী মৃদুলা। সমস্ত চাপ, দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল সে। তখন ছোট্ট বাড়িতে থাকতাম আমরা। তাই চাহিদাও ছিল সামান্য। খুব বেশি টাকা না থাকলেও দিব্যি চলে যেত। সন্তানদের পড়াশোনা করানো থেকে শুরু করে সংসারের খরচ সামলানোর জন্য সমস্ত ব্যাপারটাই দেখভাল করত মৃদুলা। পরিবারে আয় করার ক্ষেত্রেও একমাত্র সদস্য ছিল সে'।
এই ব্যাপারে বেশ কিছুদিন আগের এক সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ আরও বলেছিলেন যে ওইসময়ে বহু প্রযোজকের দরজায় দরজায় ঘুরেছিলেন তিনি অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার জন্য। আর বারে বারে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। আর এখন? বাড়িতে প্রতিদিন আসতে থাকে একের পর এক ছবির প্রস্তাব।