কেবিসির ১৩ নম্বর সিজনের প্রথম কোটিপতি হয়েছেন হিমানী বুন্দেলা। আশা ছিল, দ্বিতীয় প্রতিযোগী হিসাবে এই খেতাব উঠবে প্রাণশু ত্রিপাঠির মাথায়। কিন্তু একটুর জন্য কোটিপতির হতে পারলেন না প্রাণশু। দুর্দান্ত খেলে ৫০ লক্ষ টাকা জিতলেও ১ কোটির প্রশ্নে আটকে গেলেন তিনি। সঠিক জবাব পাকাপাকিভাবে না জানা থাকায় বিরাট রিস্ক নিতে চাননি প্রাণশু। তাই খেলা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।
বৃহস্পতিবরারে এপিসোডে প্রাণশু চটজলদি ১৪টি প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়ে পৌঁছে যান ১ কোটির প্রশ্নে। কিন্তু বাধ সাধল মুঘল ইতিহাস। মুঘল ইতিহাস সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাব জানা ছিল না তাঁর। ততক্ষণে সব লাইফলাইনও ব্যবহার করে ফেলেছেন প্রাণশু, অগত্যা খেলা ছেড়ে দেন তিনি। হোস্ট অমিতাভ বচ্চন, প্রাণশু-র কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘রয়্যাল শিপ, গঞ্জ-ই-সাওয়াই লুট করেছিলেন ব্রিটিশ নাবিক হেনরি এভেরি, কোন শাসকের জাহাজ ছিল এটি?’
প্রাণশুর সামনে ছিল চারটি অপশন- টিপু সুলতান, হায়দার আলি, ঔরঙ্গজেব এবং দ্বিতীয় বাজিরাও। এর সঠিক জবাব মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব।
সঠিক উত্তর জানিয়ে অমিতাভ বলেন, ৭ই সেপ্টেম্বর ১৬৯৫ সালে যখন মক্কা থেকে ফিরছিল গঞ্জ-এ-সাওয়াই তখন ব্রিটিশ নাবিক হেনরি এভরি ওই জাহাজ লুট করেন। এর জেরে শুধু মনিমানিক্য নয় মোঘল সম্রাটকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রও খোয়াতে হয়েছিল।
এক কোটির প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া এই প্রতিযোগির ধ্যান-জ্ঞান, ক্রিকেটার রোহিত শর্মা। ভারতীয় ক্রিকেটের তারকা ব্যাটসম্যানের দারুণ ভক্ত প্রাণশু।সে কথা আগেই জেনেছিলেন বিগ বি। মঞ্চে প্রাণশুর কাছে একটা প্রশ্ন রেখেছিলেন অমিতাভ, ‘আচ্ছা দুজনের মধ্যে বাছতে বললে তুমি কাছে বেছে নেবে, রোহিত শর্মা না অনামিকা?’ প্রাণশুর প্রেমিকার নাম অনামিকা। এর জবাবে প্রাণশু হেসে বলেন, ‘এটা সাত কোটির প্রশ্নের চেয়েও বেশি কঠিন, স্যার আপনি তো কোনও লাইফলাইনও দিলেন না এর উত্তর দিতে’।