ভারতীয় টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় গেম শো কৌন বনেগা ক্রোড়পতির ১৪ নম্বর সিজন জমে উঠেছে। কেবিসির মঞ্চে বরাবরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানান কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অমিতাভকে। বিশেষত ‘পত্নিজি’ মানে জয়া বচ্চনকে নিয়ে প্রতিযোগিদের মনে জড়ো হওয়া কৌতুহল দূর করতে গিয়ে অনেক সময়ই ফেঁসে যান বিগ বি। ফের তেমনই ঘটনার পুনরাবৃত্তি!
কেবিসির আসন্ন এপিসোডে হটসিটে অমিতাভের মুখোমুখি হতে চলেছেন দিল্লির ব্যবসায়ী হর্ষ পোদ্দার। সোনি চ্যানেলের তরফে ইতিমধ্যেই ভাগ করে নেওয়া হয়েছে সেই এপিসোডের প্রোমো। মজাদার এই পর্বে ব্যবসায়ী প্রতিযোগী নিজের জীবনের গল্প শোনাচ্ছিলেন। তিনি জানান, স্ত্রীর সঙ্গে কেবিসির মঞ্চে হাজির হয়েছেন। এরপর গড়গড়িয়ে বলে চলেন, ‘আমি বলতে চাই আমাদের মাঝেমধ্যে ঝগড়া হয়। অনেকসময় যখন আমি খুশি মনে বাড়ি ফিরি, আমার মুখে হাসি থাকে। তারপরই আমার স্ত্রী…’। হর্ষের মুখের কথা ছিনিয়ে নেন অমিতাভ। তিনি এরপর যোগ করেন, ‘আপনি হাসছেন… আজ কার সঙ্গে দেখা করে এলেন?’
অমিতাভের মুখে এমন কথা শুনে চমকে যান হর্ষ! তিনি পালটা প্রশ্ন করেন,'আরে স্যার… আপনার সঙ্গেও এমনটাই ঘটে নাকি?' মুখে কোনও জবাব দেননি শাহেনশা। তবে তাঁর অভিব্যক্তি বুঝিয়ে দেন, বাড়িতে ঠিক একইরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকেও।
আরও পড়ুন-দুধ খাওয়ার পর ছেলের ‘মিষ্টি’ ঢেকুর তোলা, মাতৃত্বের অনুভূতিতে মুগ্ধ সোনম
প্রতিযোগিদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই মজার আলাপচারিতায় মগ্ন হয়ে ওঠেন অমিতাভ। সম্প্রতি এক প্রতিযোগির স্ত্রীর কাছে তারকা প্রশ্ন রাখেন, তাঁর ছবি গুলো ‘বেকার’ কিনা। অন্যদিকে এক তরুণ প্রতিযোগির কাছ থেকে অনলাইন ডেটিং-এর ব্যাপারে জানতে চান।
আরও পড়ুন-‘বয়কটের জন্য শামশেরা ফ্লপ করেনি, ছবির বিষয়বস্ত বাজে ছিল’, বিস্ফোরক রণবীর
অমিতাভ আর জয়ার বিয়ের বয়স ৪৮ বছর। তারকা জুটির দুই সন্তান শ্বেতা বচ্চন নন্দা আর অভিষেক বচ্চন। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘গুড্ডি’ ((১৯৭১) ছবির সেটে প্রথম আলাপ দুজনের। এরপর একসঙ্গে ‘জঞ্জির’ (১৯৭৩), অভিমান (১৯৭৩), শোলে ((১৯৭৫), চুপকে চুপকে (১৯৭৩), মিলি (১৯৭৫) কেবসি-র ১০০০তম এপিসোডে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল জয়াকে। সেখানে রীতিমতো অমিতাভের ক্লাস নেন জয়া। স্বামীর ফ্যাশন সেন্সকে কটাক্ষ করে জয়া বলেছিলেন- ‘কোনওদিন তো অদ্ভূত রকম ভায়োলেট (বেগুনি) স্যুট পরে বসে যান। একদম ভালো লাগে না’। স্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে বেশ হতাশ হওয়ার ভান করেছিলেন অমিতাভ। বলেছিলেন- ‘যাও আমি আর তোমার সঙ্গে কথাই বলব না’।