বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > KBC: বিনোদ কাম্বলির এই গোপন খবর ফাঁস করেছিলেন সচিন, শুনে চমকে গেছিলেন অমিতাভ!

KBC: বিনোদ কাম্বলির এই গোপন খবর ফাঁস করেছিলেন সচিন, শুনে চমকে গেছিলেন অমিতাভ!

প্রিয় বন্ধু বিনোদ কাম্বলির এই গোপন খবর কেবিসি-তে ফাঁস করেছিলেন সচিন।(ছবি সৌজন্যে - হিন্দুস্তান টাইমস) 

গুজরাতের ভূমিকম্পে আক্রান্তদের সাহায্যার্থের উদ্দেশ্যে ২০০১ সালে কেবিসি-তে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। পাশে ছিলেন তাঁর অন্যতম প্রিয় বন্ধু বিনোদ কাম্বলিও।

কৌন বনেগা ক্রোড়পতির ১৩ নম্বর সিজন শুরু হয়েছে গত মাসেই। ২০০০ সাল থেকে চলা, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই নন-ফিকশন শো-এর সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে অমিতাভ বচ্চনের নাম। গত ২১ বছরে কেবিসির হট সিটে অতিথি হিসেবে চেপে বসেছেন দেশের তামাম সব তারকা। গুজরাতের ভূমিকম্পে আক্রান্তদের সাহায্যার্থের উদ্দেশ্যে ২০০১ সালে কেবিসি-তে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। সেইসময় তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা সচিনের অন্যতম প্রিয় বন্ধু বিনোদ কাম্বলি।

ভারতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পাওয়ার বহু বছর আগে থেকেই সচিন-কাম্বলির বন্ধুত্বের কথা ঘুরে ফিরে বেড়াত ক্রিকেট মহলে। শো চলাকালীন অমিতাভের সঙ্গে হরেকরকম গল্প-আড্ডায় নিজেদের বন্ধুত্বের নানান অজানা কথা তুলে ধরেছিলেন সচিন, কাম্বলি দু'জনেই। একে ওপরের সঙ্গে খুনসুটি করার সুযোগও ভরপুরভাবে ব্যবহার করেছিল এই দুই বন্ধু। খেলার মাঝে এরকমই এক আড্ডার মেজাজে 'বিগ বি' সচিনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে কান পাতলে শোনা যায় ছোটবেলায় নাকি টেনিস কিংবদন্তি জন ম্যাকেনরোই ছিলেন সচিনের আইডল। অমিতাভের কথা শেষ হতে না হতেই জবাব দেন সচিন।

 

'মাস্টার ব্লাস্টার'-এর কথায়, ' তখন সাত-আট বছর বয়স হবে আমার। ভীষণ বড় ভক্ত ছিলাম ম্যাকেনরোর। চুটিয়ে খেলতাম টেনিসও। ম্যাকেনরোর মত চুল বাড়িয়েছিলাম, ওঁর মত হেড ব্যান্ড, সোয়েট ব্যান্ড পরতাম। মনে মনে খুব করে চাইতাম আমাকে যেন বন্ধুরা 'জন' বলে ডাকে। ব্যাপারটা এমন পর্যায় পৌঁছেছিল যে একটা সময় ক্রিকেট না টেনিস কোন খেলতে পা বাড়াব তা নিয়েও ভাবতে হয়েছিল'। সামান্য থেমে 'লিটল মাস্টার' আরও বলে উঠেছিলেন যে জন ম্যাকেনরোকে ভালো লাগার অন্যতম কারণ ছিল তাঁর ওই আগ্রাসী মেজাজ। সচিনের কথায়, 'ম্যাকেনরোর ওই ধরনের রগচটা, আগ্রাসী মেজাজের সঙ্গে খুব মিল পেতাম কাম্বলির। বিনোদের মেজাজ অনেকটা ওরকমই ছিল'।

সচিনের কথা শুনে যারপরনাই অবাক হয়ে যান অমিতাভ। এরপর হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'কাম্বলির মেজাজ এতটাই ভয়ঙ্কর?' সচিনের জবাব, 'একদম। ভীষণভাবে। যখন ও ড্রেসিং রুমে আসত, বাকি খেলোয়াড়রা সব চুপচাপ জায়গা ছেড়ে দিত। সবাই ওঁর মেজাজের জন্য এতটাই সমঝে চলত'।

বন্ধ করুন