বয়স সবে তিন বছর! কিন্তু মিহি মানের রাধিকার পাকা পাকা কথা শুনলে আপনি চমকে যাবেন। দাদাগিরি সিজন ১০-এর এক এপিসোডে হইচই ফেলে দিয়েছিল এই খুদে। আর এবার জি বাংলার পর্দাতেই ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ ধারাবাহিকে মোহনা মাইতির মেয়ের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে রাধিকাকে। আরও পড়ুন-মায়ের বসকে বাবা বানাতে চায় মিহি! সিঙ্গল মাদারের লড়াই গল্প নিয়ে ফিরছেন মোহনা
সিঙ্গল মাদার মধুবনীর লড়াইকে ঘিরেই এই মেগা সিরিয়ালের কাহিনি। গত সোমবার থেকে সম্প্রচার শুরু হয়েছে এই সিরিয়ালের। দিদির মঞ্চে হাজির হয়েছিল ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ পরিবার, ভোট প্রচার সামলে আপতত কলকাতার স্টুডিওতে ফিরেছেন রচনা। চশমা চোখে দিদির নতুন লুক ঘিরে চর্চা জারি।
রাধিকা সৌরভের পর এবার মিষ্টি কথায় মন জিতে নিল রচনার। এদিন মোহনাকে বলতে শোনা গেল, ‘একজন মায়ের লড়াই মুশকিল, সেখানে আমি সিঙ্গল মাদার। আমাদের হচ্ছে নিষিদ্ধ ভালোবাসা, মধুবনী মেয়ের জন্য সব স্যাক্রিফাইস করতে পারে। ঋকদেব (সায়ন) কাছে আসতে চাইছে, কিন্তু কে প্রথম কাছে আসবে সেটাই হচ্ছে কথা’।
মধুবনী স্পষ্ট জানাল, মিহির সবচেয়ে প্রিয় তাঁর স্যার আঙ্কেল। রান্না করতে দারুণ ভালোবাসেন মধুবনী, দিদির সেটেও পোলাও-মাংস নিয়ে হাজির সে। নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মধুবনী আরও বলে, বড়লোকদের সে পছন্দ করে না।
রচনা আবদার করলেও শুরুতে সিরিয়ালের সংলাপ বলে শোনালো না, রাধিকা। মিহি বলল, ‘ডায়রেক্টর আঙ্কেল বলেছে শেষে বলতে’। দাদাগিরিতে হাজির হয়েছে এমন ঝালমুড়ি বানিয়েছিল রাধিকা, চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় সৌরভের। সেই স্মৃতিহাতড়ে মিহি বলল, ‘আমি ঝালমুড়ি রান্না করি। মুড়ি, বেশি করে আলু দিয়ে দিয়েছিলাম দাদাগিরিতে দেখেছিল? সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছে না এত লঙ্কা খাই না’।
হ্যাঁ, এক বাটি লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মাখা রাধিকার ঝালমুড়ি দেখে সৌরভ বলেছিলেন, ‘আমি তো ৫০ বছরেও এত লঙ্কা খাইনি’।
মোহনা জানায়, এখানে তাঁর মা-মেয়ের পাশাপাশি দুই বন্ধুও। সবকাজে মা-কে সাহায্য করে মিহি। রুটি বেলা থেকে মায়ের শাড়ির আঁচল ঠিক করে দেওয়া, সব কাজে ওস্তাদ তিন বছরের মিহি। মায়ের সঙ্গে বস অ্যাঙ্কেলের সম্পর্ক জোড়ার কাণ্ডারী কীভাবে হবে সে সেই নিয়েই এগোবে ছবির গল্প।
এই ধারাবাহিকে মিহির বস আঙ্কেলের ভূমিকায় রয়েছেন সায়ন বসু। টুম্পা অটোওয়ালির নায়কের সঙ্গে এবার রোম্যান্স করবেন ছোটপর্দার গৌরী।