‘ব্যারিস্টার বাবু’, ‘বিঘ্নহার্তা গণেশ’- এর মতো ধারাবাহিকের দৌলতে কেতকী কুলকার্নি এখন হিন্দি টেলিভিশন দুনিয়ার বেশ পরিচিত নাম। এই বছরই ১৮তে পা রেখেছেন কেতকী। এবার ‘হায়ার সেকেন্ডারি বোর্ড এক্সাম’ দিয়েছিলেন তিনি। রেজল্টও বের হয়েছে। কত নম্বর পেয়েছেন? ফলপ্রকাশের দিন আতঙ্কে তাঁর ঠিক কী হাল হয়েছিল, সম্প্রতি সেসব নিয়েই হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী কেতকী।
কেতকী বলেন, ‘আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম, তবে HSC ফল বের হবে বলে তা বাতিল হয়ে যায়। আর আমার বাবা-মাও চেয়েছিলেন আমি ওইদিনটা বাড়িতেই থাকি, কারণ খুব নার্ভাস ছিলাম। ওইদিন কার্যত নিজেকে গৃহবন্দী করে রেখেছিলাম। এদিকে ওই দিন রেজাল্ট নির্দিষ্ট টাইমের ১০ মিনিট আগেই বের হয়ে যায়। আমার ভাই সেটা দেখে মাকে বলে আমায় বলার জন্য। মা ও ভাই যখন আমায় বাইরে আসতে বললেন। আমি বলি, রেজাল্ট বের হওয়ার পরই আমি ঘরের বাইরে আসব। আমার মা বললেন আমি ৮১ শতাংশ নম্বর পেয়েছি। যা শুনে আমি একপ্রকার হতবাক হয়ে যাই। আমি এটার জন্য পরিশ্রম করেছি ঠিকই তবে ৭৫ শতাংশের বেশি আশা করিনি, ৮১ শুনে অবাক হয়ে যাই। ’
কেতকী বলেন ‘এরপর রেজাল্ট শুনে আমি আনন্দে কাঁদতে শুরু করি। কারণ, খুব চাপের মধ্যে দিয়েই পরীক্ষা দিয়েছি, কারণ সেসমব মারাঠি ছবি 'সারি' বলিউডে আমার ডেবিউ ছবি ১৯২০ প্রচারের কাজে আমি ব্যস্ত ছিলাম। আমার মনে আছে রাতে পড়াশোনা করতাম, আবার সকালে শ্যুটিং। খুব অল্প সময়ই পড়ার সুযোগ পেয়েছি।’
কেতকী বলেন, '১৯২০: হররস অফ দ্যা হার্ট'-এ অভিনয়ের সুযোগ তিনি অডিশন ছাড়াই পেয়েছেন। তাঁর কথায়, ভৌতিক ছবিতে কাজ করা তাঁর পক্ষে বেশকিছুটা কঠিন ছিল, কারণ তিনি নাকি ভূতে ভয় পান, ভৌতিক ছবি দেখতেও ভয় পান, আর তাই এধরনের ছবি বিশেষ দেখেনও না। তবে ১৯২০-র শ্যুটিংয়ের আগে কাজের প্রয়োজনেই তিনি বেশকিছু ভৌতিক ছবি দেখেছেন, তবে সঙ্গে তাঁর মা সবসময় থাকতেন।
কেতকীর কথায়, আগে তিনি অন্ধকারে ভয় পেতেন, বারান্দায় একা যেতে ভয় পেতেন, তবে এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে সেসব ভয় তাঁর কেটে গিয়েছে। এখন তিনি একা যেকোনও জায়গাতেই যেতে পারেন, আগের মতো ভয় পান না বলেই জানিয়েছেন।