দেখতে দেখতে প্রায় এক মাস হতে চলল অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় আর নেই! একটা সময় রুপোলি পর্দা কাঁপানো এই হিরো সম্প্রতি দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন একজন দায়িত্বশীল বাবা হিসাবে। ‘মোহর’, ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে তাঁর সাবলীল অভিনয় সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছে। অভিষেকের অকাল মৃত্যুর পর গল্পের লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় অভিনীত চরিত্রে অন্য কাউকেই দেখা যাবে না। বরং ওই চরিত্রটি বিদায় নেবে গল্প থেকে।
গত তিন সপ্তাহ ধরে একটু একটু করে প্রহর গুণছিল দর্শকরা। গল্প অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা গুণগুণকে রেখে জরুরি কনফারেন্সের কাজে এক সপ্তাহের জন্য ইতালিতে গিয়েছেন ডাঃ কৌশিক। আর বুধবারের এপিসোডেই এল তাঁর মৃত্যু সংবাদ। কৌশিকবাবুর এক সহকর্মী ফোন মারফত বাবিনকে জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কৌশিকবাবু। এখানেই সেই রিয়েল-রিল মিলে মিশে একাকার। গত ২৪শে মার্চ ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা যান অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
কৌশিকের মৃত্যুর খবর যখন পরিবারের সবার সামনে (গুণগুণ ছাড়া) বাবিন জানায়, তখন যেভাবে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার তা মন ছুঁয়ে গিয়েছে দর্শকদের। সবাই বলেছেন, ‘সবার অভিনয় খুব সাবলীল, মনেই হচ্ছে না অভিনয় করছে’। গর্ভবতী গুণগুণকে এই শোক সংবাদ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবারের সকলে। তবে মন মানছে মেয়ের। কেন ড্যাডির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না সে? বারবার মন উঁকি দিচ্ছে প্রশ্ন। কেমনভাবে এই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে গুণগুণ? বাবা-অন্ত প্রাণ গুণগুণ এই মৃত্যুশোক মেনে নিতে পারবে তো? এবার এই নিয়েই এগোবে খড়কুটোর আগামিদিনের গল্প।