গুনগুন ছাড়া মুখার্জী বাড়ির বাসিন্দাদের দিন কাটছে না। মন খারাপ সকলেরই। বাবিনের বউ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় ক্রমাগত নিজেকে দোষ দিয়ে যাচ্ছে মিষ্টি। এদিকে জ্যাঠাই আর বড়মাও জানিয়ে দিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়ির বউক ফেরাতে না পারলে তাঁরা বৃদ্ধাশ্রমে ফিরে যাবে। আপাতত ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে, সকলে মিলে বারবার চেষ্টা করছে গুনগুনের মান ভাঙানোর। কিন্তু একরোখা গুনগুনের অভিমান কমছে না।
এদিকে ইউনিভার্সিটিতে আচমকাই মুখোমুখি তাঁরা। বাবিনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে গুনগুনের। এখনও একইভাবে বউয়ের যত্ন নিতে দেখা যায় সৌজন্যকে। সঙ্গে সে গুনগুনকে অনুরোধ করতে বাড়িতে ফিরতে। জানায়, সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে। নয়তো ভেঙে যাবে তাঁদের সুখী পরিবার। গুনগুন বাড়ি ছাড়ার পর হাসি উড়েছে মুখার্জী বাড়ির সকলের মুখ থেকে। তাই ফিরতেই হবে গুনগুনকে!
পটকাও পরিবারের সকলকে জানিয়ে দিয়েছে, গুনুগুনকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তাঁর আর কোনও মতামত নেই। কারণ, যখন সে বাড়ির সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, কেউ তার কথা শোনেনি। তাই এসবের থেকে সে এখন নিজেকে দূরেই রাখতে চায়।
এদিকে দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দু'ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে সকলে। একদল মনে করছে যেভাবে গুনগুন ওরফে তৃণাকে অপদস্থ করা হয়েছে, তাঁর আর ওই বাড়িতে ফেরা উচিত নয়। এটাই হবে যৌগ্য শাস্তি। আবার কেউ কেউ মনে করছে জ্যাঠাই আর বড়মা যখন নিজে এসেছিল গুনগুনের কাছে, তখন তার ফেরা উচিত। বড়দের অপমান করা, তাদের কথা না শোনার এই স্বভাব ত্যাগ করে ‘ভালো বউ’ হওয়া উচিত গুনগুনের। কেউ কেউ আবার মনে করছে গুনগুন আর সৌজন্যর উচিত নিজেদের বাচ্চা নেওয়া! তাহলেই নাকি মিটবে সব সমস্যা!