‘গুনগুন’ মারা যেতেই হায় হায় করে উঠেছিল দর্শক। গত ২ বছর ধরে যেই মেয়েটা তাঁদের হাসিয়েছে-কাঁদিয়েছে সেই মেয়েটা যে ধারাবাহিকের শেষে মরে যেতে পারে তা তাঁরা ভাবতেও পারেননি। তবে আপনাদের জন্য সুখবর দিয়ে দিই। মরে গিয়েও ফিরে এসেছে গুনগুন।
২৫ বছরের লিপ নেবে ‘খড়কুটো’। আর সেখানেই দেখা যাবে গুনগুন আর সৌজন্যর ছেলে, চাঁদ বড় হয়ে একজন বিখ্যাত অঙ্কলজিস্ট হয়েছেন। আর সেখানে নিজের হাসপাতালে গিয়েই তাঁর মুখোমুখি দেখা হবে নতুন গুনগুনের সঙ্গে। ঠিকই ধরেছেন দেখতেও এক, নামও এক। ডাক নাম গুনগুন আর ভালো নাম স্রোতস্বিনী আর আগের গুনগুনের মতো এই গুনগুনও একইরকম ছটফটে, একইরকম হাসিখুশি। একই রকম খ্যাপাটে স্বভাবের। আর চাঁদ আর গুনগুনের ঝগড়াও হচ্ছে সেই আগের মতনই।
আরও পড়ুন: এই বিশেষ কারণে নিজের নামের সঙ্গে কাপুর জুড়তেই হল আলিয়াকে, ফাঁস করলেন নায়িকা!
ঠিক আগের গুনগুনের মতোই এই গুনগুন সৌজন্যর ছেলে চাঁদকে নাম দেবে ‘ক্রেজি’। আর যা দেখে গোটা মুখার্জী পরিবারের মনে আশা বাঁধবে এবার হয়তো পুরনো সম্পর্কের আঁচই তাঁদের পরিবারে ফিরিয়ে আনবে সেই উষ্ণতা। একইসঙ্গে ২৫ বছরের এই লিপ দেখে এটাও আশা করছেন অনেকে, হয়তো খুব জলদি পরদায় ফিরবে ‘খড়কুটো ২’। নতুন প্রজন্মের নতুন সম্পর্ক নিয়ে।
প্রসঙ্গত, আগের গুনগুনের মারা যাওয়া নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে ধারাবাহিকের লেখিকা লীনা বলেছিলেন, 'একটা ভালোলাগার চরিত্র চলে গেলে কষ্ট লাগবেই। কিন্তু লেখকেরও তো একটা ইচ্ছা-অনিচ্ছার ব্যাপার থাকে। তিনি যখন একটি গল্প তৈরি করেন, তখন সেখানে কোন চরিত্রের জার্নি কোথায় শেষ হবে, তা লেখকই ঠিক করবেন। লেখায় কোনও গণতন্ত্র চলে না।'
আরও পড়ুন: ভুল ভুলাইয়ার সাফল্য মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে কার্তিকের, এত টাকা চাইছেন সিনেমা করতে!
গুনগুনের মৃত্যু নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তাঁর যুক্তি ছিল, 'আমার মনে হয়েছিল, এ রকম কিছু একটা হলেই মানুষ সারা জীবন গুনগুনকে মনে রাখবেন। সেই জন্যই এটা করা। জীবন তো থেমে থাকে না। এগিয়ে চলে। আর সেটা দেখার জন্যই ধারাবাহিকের শেষ দিন অপেক্ষা করতে হবে। গল্পে একটা টুইস্ট আছে। আমার মনে হয় সেটা দেখে দর্শকের দুঃখ কিছুটা হলেও কমতে পারে।'
সে টুইস্ট সত্যি এল! ফিরে এল গুনগুন। আগের গুনগুনকে হারিয়ে দর্শক মনে যে আক্ষেপ তৈরি হয়েছিল তা এবার মিটে এল। ঠিক যেমনটা চাইছিলেন সবাই, সেরকমই ‘হ্যাপি এনডিং’ পেল খড়কুটো পরিবার।