তিন্নির ষড়যন্ত্রে তোলপাড় গুনগুনের সংসার। ফন্দি এঁটে সাময়িকভাবে হলেও গুনগুন-সৌজন্যকে আলাদা করতে সফল তিন্নি। মনে মনে আগেই শপথ নিয়েছে সে, ‘সৌজন্যদা যদি আমার না হয়, তাহলে আমি ওকে অন্য কারুর হতে দেব না’। বাবিন আর তিন্নি দিদিকে নিয়ে আগে থেকেই নানান প্রশ্ন ছিল গুনগুনের মনে। আর বাবিনের নামের সিঁদুর পরে দুজনকে এক ছাদের তলায় দেখবার পর তো তাঁর বিশ্বাস টলেছে বাবিনের উপর থেকে। গুনগুন আর পরিবারের সকলের চোখে নিজেকে অপরাধী হিসাবে দেখতে না-রাজ বাবিন। তাই বাড়ি ছেড়েছে সে। মন খারাপ সত্ত্বেও বাবিনের উপর অভিমান কমছে না গুনগুনের। এরমাঝেই অশনি সংকেত!
সামনে এসেছে খড়কুটোর নতুন প্রোমো। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে বাবিনের বিরাট বিপদ। পুটু পিসি ঠাকুরের ছোঁয়ানো সিঁদুর গুনগুনের মাথায় পরাতে গেলে সেই থালা হাত থেকে পড়ে যায়। তাতেই বিপদের আঁচ করে সকলে। এরপর ফোন আসে মুখার্জি বাড়িতে। জেঠাই জানতে পারেন সৌজন্য হাসপাতালে। খুব সম্ভবত কোনও অ্যাসিডেন্টের শিকার সৌজন্য। সেকথা শোনামাত্র সব অভিমান ভুলে গুনগুন পটকাকে বলে, ‘চলো আমাদের এক্ষুণি্ যেতে হবে’।
বিয়ের পর থেকে সংসারে নানান অশান্তি ঝড় ঝাপ্টা সামলেছে সৌগুন, কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে এমন বিপদ আগে কখনও দেখা দেয়নি। গুনগুনের অবিশ্বাস মৃত্যু মুখে ঠেলে দিয়েছে বাবিনকে। এখন কীভাবে ফের জোড়া লাগবে দুজনের সম্পর্ক? আবারও প্রাণোচ্ছ্বল গুণগুণের মুখে হাসি ফুটবে তা জানতেই অপেক্ষায় ‘খড়কুটো’র ভক্তরা।
অন্যদিকে সৌগুনের সাজানো সংসার যেভাবে তছনচ করে দিল তিন্নি, তা মোটেই পছন্দ হয়নি দর্শকদের। টিআরপি তালিকায় তলানিতে খড়কুটো। চলতি সপ্তাহে সেরা ১০-এ জায়গা হয়নি একসময় টিআরপি তালিকায় শীর্ষে থাকা ‘খড়কুটো’র। তাই কপালে যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ নির্মাতাদের। গল্পে যে বিরাট কোনও চমক আসতে চলেছে তা বেশ স্পষ্ট।