একে তো দ্বিতীয় বিয়ের জন্য মন মানছে না গুনগুনের। আর কাটা গায়ে নুনের ছিটে দিতে আসরে নেমে পড়ল তিন্নি দিদি। খড়কুটোর বুধবারে এপিসোডে দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করছে একঝাঁক চমক। বিয়ের প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে ফের একবার বিয়ে, তাও অন্য কারুর সঙ্গে (গুনগুন তেমনটাই জানে), এমন পরিস্থিতি তিন্নি আগ বাড়িয়ে বলে বসে, ‘ সৌজন্যদা আজ মুক্তি পেল, তোমার জীবনটা নতুন করে শুরু হল। সৌজন্যদা তোমাকে না আমি স্যালুট করতে চাই… সেইজন্যই তুমি আমার কাছে এতো স্পেশ্যাল। আসলে, আমার একটা ভুল ধারণা হয়েছিল যে সৌজন্যদা গুনগুনকে ভালোবেসে ফেলেছে। একটা জিনিস আমি আজ পরিষ্কার বুঝে গেলাম ওই ধারণাটা ভুল’।
তিন্নির কথায় গুনগুনকে সৌজন্য ভালোবাসলে কোনওদিনই এই বিয়ের আসরে হাজির হত না। এইসব শুনে নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি। সে পিসতুতো দিদির কাছে প্রশ্ন রাখে, ‘তুমি কেন এসেছো এখানে?’ এরপরই অভিমানের সুরে বলে, ‘হ্যাঁ, তোমার তো ভালোই হল এবার তুমি এই ক্রেজিটার মাথা চিবিয়ে চিবিয়ে খাও… তোমার রাস্তাটা ক্লিয়ার হল’। ফের একবার সৌজন্যকে নিয়ে দুই বোনের টানাটানিতে জমজমাট সিন!
চমকের শেষ এখানেই নয়, পটকা অ্যান্ড কোম্পানি যখন এই নাটকের তাড়িয়ে তাড়িয়ে মজা নিচ্ছে তখনই জ্যাঠাই, বড়মা, পুটুপিসিরা বেশ হতাশ। বিয়ের অনুষ্ঠান ছেড়ে বাড়ি ফিরতে পারলেই তাঁরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। 'প্রাক্তন' স্ত্রীর বিয়ের আসরে অনেক জোরাজুরির পর অবশেষে গান ধরে বাবিন। কিন্তু ক্রেজির গলায় ‘কভি অলবিদা না কহনা’ শুনে তো গুনগুনের চোখের জল বাঁধ মানছে না। ব্যাস আর কী! সকলের সামনে দৌড়ে গিয়েই সৌজন্যকে ফের ‘আই লাভ ইউ’ বলে বসল সে। দেখে হতবাক গোটা পরিবার। অন্যদিকের জয়ের হাসি কৌশিকবাবু, পটকা আর কোম্পানির মুখে। সৌজন্য এবার কি স্বীকার করবে নিজের ভালোবাসার কথা? নাকি এবারও স্পিকটি নট! তা জানা যাবে আগামিকালের এপিসোডে।