বাংলার তাঁর জন্মভূমি বা কর্মভূমি নয়, তবে বাংলার সঙ্গে এক অদ্ভূত নাড়ির টান রয়েছে। তিনি বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, তিনি শাহরুখ খান। বাংলার মসনদে পালা বদলের পর প্রতি বছরই কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে হাজির হন শাহরুখ খান, এই ট্রাডিশনে করোনার জেরে ভাটা পড়ল ২৬তম এডিশনে। সশরীরে এদিন তিলোত্তমায় হাজির থাকতে না পারলেও ভার্চুয়ালি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন বাদশা।
এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই দিদির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় সারেন শাহরুখ। এরপরের বেশ কিছুটা সময় দিদি-ভাইয়ের রসায়ন মুগ্ধ করে রাখল নবান্নের সভাঘরে উপস্থিত টলিউডের রথী-মহারথীদের, পর্দার এপারেও তাড়িয়ে তাড়িয়ে সেই কেমিস্ট্রি দেখল সিনেপ্রেমীরা। বাদশাহি মেজাজে শাহরুখ জানালেন তাঁর আফসোসের কথা। ২০১১ সাল থেকে কলকাতা চলচ্চিত্র উত্সবের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত থেকেছেন তিনি কিন্তু করোনার জেরে এবছর দূর থেকেই অংশ নিলেন। কলকাতাকে এবং মমতাদিদিকে ভীষণ মিস করছেন তিনি অকপটে বলে উঠেন শাহরুখ খান। শাহরুখ বলেন-'এই প্রথম মমতা দিদি আমার কথা শুনেছে, অন্যবার কোনও কথায় শোনে না। এবার যখন বললাম করোনার জন্য তো যেতে পারব না উনি একবাক্যে সায় দিলেন'।
শাহরুখ যোগ করেন, করোনারকালে তিনি শিখেছেন পরিবারের চেয়ে বেশি জরুরি আর কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে পরিবার মানে শুধু স্ত্রী,ভাই,বোন,সন্তনরা নয়, আমার কাছে কলকাতা আমার পরিবার, বাংলা আমার পরিবার, পুরো দেশ আমার পরিবার’। বিনোদুনিয়ার মানুষ হিসাবে ২০২১ সাল জুড়ে নিজের পরিবারের কাছে সুস্থ বিনোদন পৌঁছে দেওয়ার শপথ নেন শাহরুখ। তিনি বলেন- ‘আমি নাচতে-গাইতে পারি, আমি এটাই করব, আর ওখানে যারা বসে আছে আমার জগতের মানুষরা- তাদেরও একথাটাই বলব, সকলকে এন্টারটেন করাটাই আমাদের দায়িত্ব। ছবির মাধ্যমে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে হবে'।
কিফে সশরীরে উপস্থিত না থাকায়, সবচেয়ে কী মিস করলেন শাহরুখ ? অভিনেতার অকপট জবাব- দিদিকে আলিঙ্গন করা। পরের বার দেখা হলে দু-চারবার বেশি করে আলিঙ্গন করে নেব'। এদিন মমতা শাহরুখকে ‘ফেবারিট ভাই’ বলে সম্মোধন করেন, বলেন- রাখি তে কিন্তু আসতে হবে। দিদির নির্দেশ মাথা পেতে মেনে নিলেন কিং খান। কথা দিলেন ‘নিশ্চয় আসব’।