আরজি করের নারকীয় ঘটনার পর প্রতিবাদে সামিল সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা। তবে এই আন্দোলনকে সামনের সারিতে থেকে যারা অলিখিতভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা হলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর জুনিয়র ডাক্তারদের ‘মুখ’ হিসেবে অনেকেই ট্যাগিয়ে দিয়েছেন ডাক্তার-অভিনেতা কিঞ্জল নন্দকে। যা নিয়ে ক্রমাগত ট্রোলে পড়ছেন তিনি। এমনকী, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেউকেউ।
শনিবার রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্ণা মঞ্চের ছবি শেয়ার করেন কিঞ্জল। দেখা যায়, সেখানেও বেশিরভাগেরই সামনে খোলা বই। পরপর বসে ৬ অনশনকারী। সবার মুখেই লেগে রয়েছে হাসি। কষ্টের লেশমাত্র নেই। কিঞ্জলের এই পোস্টেই একজন মন্তব্য করেন, ‘কোনো এক সেলিব্রিটি লিখেছে দেখলাম, বন্দুক অন্যের কাঁধে দিয়ে সব প্রচার এর মুখ হতে চাইছে।’ তাতে তিনি জবাব দেন, ‘লিখতে দিন না’। এই কমেন্টের জবাবে আরেক নেটনাগরিক লেখেন, ‘এরা জুনিয়রদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, আসলে ওদের নিজেদের শিরদাঁড়া বিক্রি করে দিয়েছে তো, তাই যাদের শিরদাঁড়া আছে তাদের মানসিক জোর সম্বন্ধে কোনো ধারণাই নেই। না কুণালের না মৌপিয়ার।’
আরও পড়ুন: ‘মানুষ ভেবেছে আমি সকাল থেকে মদ খেয়ে পড়ে থাকি’! দর্শক গুলিয়ে ফেলে রিল আর রিয়েল লাইফ, দাবি স্বস্তিকার
এই পোস্টেই আরেকজন কমেন্ট করলেন, ‘আমাদের সকলের উচিত আপনাদের ধন্যবাদ জানানো, আপনাদের কাছে ক্ষমা চাওয়াও উচিত। রোদে পুড়ে, জলে ভিজে, তাবেদারদের হাজারো মিথ্যে সয়েও আমাদের সবার লড়াই আপনারা লড়ছেন। ভালোবাসা নেবেন। অনশনকারী ভাইবোনদের শ্রদ্ধা এবং কুর্নিশ জানাই।’
তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘ভীষণ একটা অস্থিরতা হচ্ছে। এইদিন দেখবো ভাবিনি। তোমরা সুস্থ থাকো। জয়ী হও।’
আরও পড়ুন: ‘বয়স হয়েছে তো, সিলেকটিভ ডিমেনশিয়া হয়েছে’! ঋতুপর্ণার করা ‘কে ও’ প্রশ্নে চাঁচাছোলা জবাব শ্রীলেখার
যে ৬ ডাক্তার অনশন করছেন, তাঁদের নাম ও শারীরিক অবস্থাও সামনে এনেছেন কিঞ্জল। আপাতত গোটা বাংলার চোখ তাঁদের দিকেই। একদিকে যখন শাসক দল দুর্গা পুজোর মরশুমে ‘উৎসবে ফেরা’র জন্য ফোঁস করতে ব্যস্ত, সেখানে এই ছেলে-মেয়েগুলোর অদমনীয় মনোভাবকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: কে এই আরফিন খান? স্ত্রী সারাকে নিয়ে আসছে বিগ বস ১৮য়, রয়েছে হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্ক
রবিবার সকালে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানস্থলে যাওয়ার কথা সিনিয়রদের প্রতিনিধিদের। আন্দোলনকে সমর্থনের বার্তা দিতে যাবেন তাঁরা। তবে ধর্ণাস্থলের কাছাকাছি বায়ো টয়লেট বসাতে না দেওয়ায় কিছু দূরের সাধারণ শৌচাগার তাঁদের ব্যবহার করতে হচ্ছে। পুলিশের দাবি ‘গ্রিন জোন’-এ বসানো যাবে না বায়ো টয়লেট। ধর্মতলার অনশনমঞ্চে সিসিটিভিও বসানো হয়েছে, যাতে কেউ কোনওরূপ বিতর্কিত দাবি করতে না পারে।