কিছুদিন আগে পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় নাম না করে কিঞ্জল নন্দ অর্থাৎ আন্দোলনরত চিকিৎসক তথা অভিনেতাকে কটাক্ষ করেন তাঁর মেধা নিয়ে। দাবি করেন তিনি ১ কোটি টাকা ডোনেশন দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে পড়ে ডাক্তার হয়েছেন। কেবল অনিকেত চট্টোপাধ্যায় নন, তাঁর অনেক অনুরাগীরা সেই পোস্টে আক্রমণ শানিয়েছেন অভিনেতা-চিকিৎসকের উদ্দেশ্যে। এরপর খোদ কিঞ্জল সবটা প্রকাশ্যে আনলেন। জানালেন তাঁর WBJEE র্যাঙ্ক কত ছিল।
আরও পড়ুন: মহালয়ায় আসছে মমতার লেখা-সুরে তৈরি অ্যালবাম অঞ্জলি! রয়েছে রাঘব-বাবুল সহ কোন গায়কদের গান?
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই কলকাতায় পরপর খুন, টোটা-অনির্বাণের সঙ্গে তদন্তে হাত মেলালেন বলিউডের শান্তনুও!
কিঞ্জল কী জবাব দিলেন অনিকেতকে?
এদিন কিঞ্জল নন্দ অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের পোস্টে মন্তব্য করে লেখেন, 'ইচ্ছে হল তাই লিখছি। অনেকেই অনেক কথা বলছেন, সত্যটা একটু বলা উচিত। যেহেতু অনিকেত বাবুকে আমি কিছুটা চিনি এবং উনি আমার সিনিয়র সেই জায়গাতে শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখছি, আমি যে বছর WBJEE দিই আমাদের পশ্চিমবঙ্গে টোটাল সিট ছিল বোধহয় ৯০০ এর কাছাকাছি। তখন এত মেডিক্যাল কলেজ হয়নি। আমি র্যাঙ্ক করেছিলাম ৮৫৯ জেনারেল। কিছুটা শেষের দিকে। জেলার কিছু সরকারি কলেজে চান্স পাচ্ছিলাম শেষের দিকে। যেহেতু বাবা মা একা থাকেন সেহেতু আমি বাইরে যেতে চাইনি। বরাবরই ঘরকুনো। তারপর কাউন্সেলিংয়ে কেপিসিতে পাই। তখন কেপিসিতে সরকারি ৫০টা সিট ছিল। তার মধ্যেই আমি প্রবেশ করি। সাড়ে পাঁচ বছরে আমার খরচ হয়েছিল ৫ লাখ।'
এরপর কিঞ্জল আরও জানান তিনি মোটেই এই টাকা তাঁর বাবার থেকে নেননি। ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছিলেন। সেই বিষয়ে তিনি লেখেন, 'বিশ্বাস করুন এই টাকাটা আমি বাবার থেকে নিইনি। নিজে লোন করেছিলাম। বাকিটা আমি টিউশন পড়াতাম কেমিস্ট্রি আর অঙ্ক। বাবার শিক্ষাটা এমন ছিল বড় হয়েছ নিজের খরচ নিজে চালাও। তাই হয়তো পড়াশোনা, টিউশন, নাটক নিয়েই থাকতাম। ডাক্তারি পাশ করার পর নিজে কাজ করে, সৎ ভাবে রোজগার করে লোন শোধ করি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের SBI ব্রাঞ্চে। আপনি পরিচালক খুবই সম্মানীয় ব্যক্তি, সাধারণ জীবন যাপন করেন। তাই আপনার কথায় একটু সত্যতা আশা করি। কষ্ট দিয়ে থাকলে মাফ করবেন। শ্রদ্ধা নেবেন। আমার বাবা সবসময় শিখিয়েছেন মানুষ হতে।'
আরও পড়ুন: দাদাসাহেব ফালকে পাচ্ছেন মিঠুন, বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসছে টলিউড! প্রসেনজিৎ-পরমরা বলছেন, 'ভীষণ গর্বিত'
কী লিখেছিলেন অনিকেত?
অনিকেত তাঁর পোস্টে এদিন লেখেন, ‘মগজ নিয়ে কিছু কথা। এক কোটি টাকা ডোনেশন দিয়ে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের বিপ্লবী মুখ। বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।’ অনেকেই অনিকেতের এই পোস্টে নাম করেই কিঞ্জলকে কটাক্ষ করেন। এক ব্যক্তি তো তাঁর আন্দোলন নিয়েও কটাক্ষ করেন।