মিছিলে শুরু, মিছিলেই শেষ! ১০ দিন পর স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে উঠল জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা। আন্দোলনরত ডাক্তাররা জরুরি পরিষেবা দিতে শনিবার থেকেই কাজে ফিরছেন, তার আগে শুক্রবার স্বাস্থ্য়ভবন থেকে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক হেড কোয়ার্টার সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত ব়্যালি করল তাঁরা। দাবি একটাই, ‘নির্যাতিতা তরুণীর বিচার চাই’।
জাস্টিস ফর আরজি করের দাবিকে সামনে রেখে এদিন ৪২ কিমি মিছিল হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। এরপর সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে তাঁরা জড়ো হয়েছিল। সেখান থেকেই ধর্না প্রত্যাহার করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্ট জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের আশ্বাস পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে আংশিক কর্মবিরতি চলবে। কিন্তু আন্দোলন থামছে না। প্রকৃত দোষীরা যতদিন না ধরা পড়ছে ততদিন আন্দোলন চলবে, হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারের আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন কিঞ্জল নন্দ। যিনি একদিকে চিকিৎসক, অন্যদিকে অভিনেতা।
এদিন ফেসবুকে নিজেদের মিছিলের ঝলক শেয়ার করে কিঞ্জল লেখেন, ‘গর্জন শুনছেন? দুর্নীতির বিরুদ্ধে মনুষ্যত্বের আওয়াজ… আমরা বিচার চাই’। এই প্রতিবাদে পাশে রয়েছে আম জনতাও।
এদিনও নাগরিক সমাজ পথে নামল আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে। শহর দেখল মশাল মিছিল। ৯ই অগস্টের সেই নৃশংস ঘটনার বিচারের দাবিতে এদিনও পথে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী, উষসী চক্রবর্তীরা। সুদীপ্তা চক্রবর্তী বললেন, ‘এইরকম দৃশ্য আমরা দেখিনি, আমার মা বলছেন উনিও ওঁনার জীবদ্দশায় এমন প্রতিবাদ দেখিনি। এখন আমার মেয়েও মিছিলে হাঁটছে। অনেকদিন আমরা গা-বাঁচিয়ে, পিঠ বাঁচিয়ে চলেছি। আজকে হঠাৎ করে সবাই জেগে উঠেছে, আর কেউ ঘুমোবে না’।
বাম চিন্তাধারায় বেড়ে ওঠা শ্যামল চক্রবর্তী কন্যা এদিন বললেন, ‘আমরা জীবনের কমফর্ট জোন থেকে বেরিয়ে রাজপথে জেনেছি। কলকাতা শহরের অনেক অংশের বেঁকে যাওয়া শিরদাঁড়াটা সোজা হয়েছে। অভয়ার বিচারের দিকে আমাদের সবার নজর রয়েছে, আমরা ফের পথে নামব।…. আজকে প্রথম পর্যায়ের আন্দোলনের শেষ, দ্বিতীয় পর্যায় শুরু। কোনও গণ্ডগোল হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও বড় আন্দোলন হবে’।