আরজি কর ঘটনার সময় সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে একটা নাম নিজের জায়গা করে নিয়েছে। তিনি হলেন কিঞ্জল নন্দ। তিনি পেশায় ডাক্তার-অভিনেতা। আরজি কর আন্দোলন নিয়ে তিনি প্রথম থেকেই ছিলেন সামনের সারিতে। তা সে লালবাজার অভিযান হোক বা স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্ণা। এমনকী, অনশনেও তাঁর উপস্থিতি ছিল। যদিও তিনি নিজে অনশনে থাকেননি।
গোটা বাংলার কাছে তিনি যখন হিরো, তখন ২ নভেম্বর নিজের হিরোকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন কিঞ্জল। লিখলেন, ‘আমাদের মতো সাধারণ মধ্যবিত্ত ছেলেদের কাছে আপনিই হিরো, লড়াইয়ের হিরো’। সঙ্গে একটি ছবিও শেয়ার করে নেন তিনি কিং খানের।
আরও পড়ুন: শ্বশুর-শাশুড়ি নন, ইনস্টাগ্রামে মাত্র ১ জনকে ফলো করেন ঐশ্বর্য, আর তিনি বচ্চন পরিবারেরই সদস্য
বলে রাখা ভালো, বাংলার একসময় ছিলেন শাহরুখ খান। এরপর যদিও ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁর জায়গায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বসান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাতে অবশ্য শাহরুখের সঙ্গে মমতার ঘনিষ্ঠতা এক চুল কমেনি। প্রতিবছর চলচ্চিত্র উৎসবে কিং খানের থাকে বাধাধরা উপস্থিতি। এছাড়া বাংলার আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহ-মালিকের পরিচয় তো আছেই।
৫৮ বছরে পা রাখলেন শাহরুখ খান। যদিও তাঁর সুঠাম চেহারা দেখে বোঝা দায়। কড়া ডায়েটে থাকেন। কিং খান একবার জানিয়েছিলেন, তিনি দিনে ১-২টোর বেশি মিল নেন না! সেখানেও তন্দুরি চিকেন বা গ্রিল চিকেন, সবজি এসবই থাকে। কাজের সূত্রে, ২০২৩ ছিল ধামাকেদার। তিনটি হিট দেন তিনি, পাঠান, জওয়ান আর ডঙ্কি। এরমধ্যে প্রথম দুটি তো ১০০০ কোটির ঘর পেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘একলা চলো রে’ নিয়ে কপিলের শো-তে রবি ঠাকুরের অপমান, শ্রীজাতর প্রতিবাদ, ক্ষমা চাইলেন ক্রুষ্ণা
তবে এই ফেরাটা কিন্তু সহজ ছিল না। ২০১৮ সালে জিরো ফ্লপ করলে, অনেকেই ধরে নেন শাহরুখ খান শেষ। একটা ব্রেক নেন অভিনেতা। তিনি জানতেন, ফিরতে তাঁকে হবেই। আর আত্মবিশ্বাসের কমতি তো এই মানুষটার কখনোই ছিল না। এরপর করোনা, লকডাউন, ছেলে আরিয়ানের নাম মাদক মামলায় জড়ানো, একেকটা ঘটনা এসে এই ব্রেক আরও বড় করতে থাকে। শেষমেশ চার বছর পর ২০২৩ সালে জানুয়ারিতে আসেন সম্পূর্ণ অচেনা অবতারে। অ্যাকশন প্যাকড পাঠান ভেঙেচুরে দেয় শাহরুখের রোম্যান্টিক অবতারকে। আর দর্শকও ভেঙে পড়ে হলে। কিং খান প্রমাণ করেন, ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’।