বর্তমানে আমির খান এবং কিরণ রাও একে অপরের প্রাক্তন, কিন্তু ছেলে আজাদ রাও খানের জন্য প্রায়শই তাঁরা একত্র হন। যেমন সম্প্রতি তাঁদের সকলকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে ছুটির মেজাজে। তিনজনেই তাঁদের জীবনে খুব ব্যস্ত। কিন্তু তাঁর মধ্যেও তাঁরা একটু সময় বের করে একসঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে ভোলেন না।
ছুটির মেজাজে আমির খান এবং কিরণ রাও
রবিবার, কিরণ তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি সুন্দর ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে একটি সবুজে ঘেরা এলাকায় কিরণ, আমির ও তাঁদের ছেলে আজাদকে দেখা গিয়েছে। সেলফিতে তাঁদের মুখে লেগেছিল একগাল হাসি। তিনজনের চোখে ছিল চশমা। ছবিটি পোস্ট করে কিরণ ক্যাপশনে লেখেন, 'রাও-খান হলিডে' সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে তাঁর সিনেমা 'লাপাতা লেডিস'-এর একটি গান দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘গোল্ড মেডেল বেচে খেতে হয়েছে’, প্রবল অর্থকষ্ট, জীবনের লড়াই শোনালেন ছন্দা চট্টোপাধ্যায়
তাঁদের সকলের পরনে ছিল হালকা রঙের পোশাক। অন্য একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কিরণ তাঁদের রবিবারের আউটিংয়ের একটি আভাসও দিয়েছিলেন, সেখানে তাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবারের অনেকে ছিলেন। তাঁরা একে অপরের সান্নিধ্য উপভোগ করছিলেন, ছবিতে সকলকে বেশ হাসি-খুশি দেখাচ্ছিল।
আমির খান এবং কিরণ রাওয়ের সম্পর্ক
আমির খান এবং কিরণ রাওয়ের দেখা হয়েছিল আশুতোষ গোয়ারিকারের ছবির 'লগন'-এ কাজ করতে গিয়ে। ২০০১ সালে তিনি যখন এই পিরিয়ড ড্রামা তৈরি করছিলেন সেই ছবির প্রজোযক ছিলেন আমির খান, আর ওই ছবিরই সহকারী পরিচালক ছিলেন করণ রাও। সেখান থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব, তারপর ২০০৫ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার আগে ২০০৪ সাল থেকে তাঁরা ডেটিং করতেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে একাধিকবার সন্তানের জন্য তাঁরা চেষ্টা করলেও, কিরণ গর্ভধারণ করতে পারেননি। তাই তাঁরা ২০১১ সালে তাঁদের ছেলে আজাদকে দত্তক নেন। তারপর ২০২১ সালে এই দম্পতি তাঁদের বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন।
তবে বিচ্ছেদের পরেও, তাঁরা আজাদকে একসঙ্গে বড় করছেন। 'দ্য লাপাতা লেডিস'-এর পরিচালক 'সি দ্য পিপল'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁরা লিভটুগেদার করতেন, কিন্তু তাঁদের বাবা-মায়ের জন্যই তাঁদের বিয়ে করতে হয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি সবসময় মনে করি বিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান, তাই কারুর সঙ্গে বিয়ে করার আগে অনেকবার চিন্তা ভাবনা করতে হয়।আমির এবং আমি বিয়ে করার আগে প্রায় এক বছর ধরে একসঙ্গে থেকেছি। আর আমরা বিয়েটা আরও করেছি বাবা-মায়ের জন্য। সেই সময় থেকেই আমরা জানতাম যে, এখানে 'আমি' যদি বড় হয়ে ওঠে তাহলে থাকা যাবে না, যতদিন 'আমরা' হিসেবে ভাবতে পারব, তত দিন এই প্রতিষ্ঠান টিকে থাকবে, তত দিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমারা একটি দম্পতি হয়ে থাকতে পারব।'