২০০৫-এ বিয়ে এরপর ২০২১-এ আইনত আলাদা হয়ে যান আমির খান-কিরণ রাও। যদিও বিচ্ছেদ হলেও এখনও সমস্তকিছুতে একসঙ্গেই দেখা যায় আমির-কিরণকে। এমনকি একমাত্র ছেলে আজাদকে একসঙ্গেই মানুষ করছেন তাঁরা। এদিকে বিচ্ছেদের পরও পরস্পরকে নিয়ে মনে কোনও তিক্ততা লুকিয়ে রাখেননি আমির-কিরণ। বিচ্ছেদের ৩ বছর পার করে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমিরের মা অর্থাৎ 'প্রাক্তন' শাশুড়িমাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন কিরণ রাও।
'প্রাক্তন' শাশুড়িমা জিনাত হুসেনকে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন কিরণ রাও?
কিরণ বলেন, ‘উনি ভীষণই ভালো মানুষ। আমাদের সম্পর্ক এখনও একই রকম আছে। উনি এখনও আমার শাশুড়িমা-ই আছেন। উনি ভীষণই স্নেহশীল। আমিরের সন্তানরা মানে (প্রথমপক্ষের) জুনেদ, ইরাও আমার খুব ভালো বন্ধু।’
আমিরের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে কিরণ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আগের মতোই। বিচ্ছেদ নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। আসলে সম্পর্কটা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেখান থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নি এটা আর টেনে নিয়ে যাওয়ার কোনও মানে নেই। আমরা আসলে এই সম্পর্কটা বাঁচানোর জন্যই এটা করেছিলাম। আমরা আসলে আমাদের বাচ্চাকে স্নানের জন্য জল দিয়ে সেখানে ফেলে দিতে চাইনি। আমরা এটাকে এমনভাবে সমাধান করতে চেয়েছি, যাতে দড়ি না কেটে গিঁট খুলে ফেলা হয়। আমরা তাই সময় নিয়েছিলাম, আর আলতো করে এই বাঁধন খুলে দিয়েছি। সবসময় খেয়াল রেখেছি, আজাদের উপর যেন কোনও মানসিক চাপ না আসে।’
আরও পড়ুন-'আমার তো ঝগড়ার করা গলা…', বলেই নচিকেতার সঙ্গে ডুয়েট গাইলেন কুণাল ঘোষ
কিরণ ফের বলেন, ‘আমরা বুঝেছিলাম, আমরা আসলে বিবাহিত জীবন কাটাতে চাইনা। তবে এর অর্থ এই নয় যে আমরা একে অপরকে ভালোবাসি না। সব স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই এমনকিছু বিষয় থাকে, যেটা হয় এক অপরের বিরক্তির কারণ, সেখান থেকেই ঝগড়া হয়। আমাদের মধ্যেও সেটা ছিল। তবে ও (আমির) আমার বন্ধু। আবার শিক্ষকও বটে। আসলে এটা নির্ভর করে, আপনি খারাপ জিনিস রাখতে চান, নাকি সম্পর্কের ভালো বিষয়গুলি বাঁটিয়ে রাখতে চান। আর আমরা আসলে বিবাহ-বিচ্ছেদের পরও সুখী।’
প্রসঙ্গত ডিভোর্সের পরও আমিরের প্রথম পক্ষের সন্তান ইরার বিয়েতে সমানে পাশে ছিলেন কিরণ রাও। আবার আমিরের ছেলে জুনেদের আপকামিং সিনেমা ‘লাভিয়াপ্পা’র প্রচারেও দেখা যাচ্ছে কিরণকে। একইভাবে কিরণ রাও-এর ‘লাপাতা লেডিজ’-এর প্রচারেও পাশে ছিলেন আমির।