Aditi Munshi-Debraj: ‘মনে হল আমি কি বেঁচে নেই!…’ দেবরাজের কীর্তি ফাঁস করলেন 'রাই কিশোরী' অদিতি মুন্সি

‘বিশ্বাস কর, এটা আমি একবর্ণ বাড়িয়ে বলছি না। তখন আমি বলছি এটা সরাও, আমার কেমন মনে হচ্ছে আমি বেঁচেই নেই। তারপর শ্রদ্ধাঞ্জলি লেখা। এবার ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ দেখে কী মনে হবে! এরপর ভাবলাম, এর প্রোগ্রাম আর নেওয়া যাবে না। তবে সবই কপাল (কপালে হাত দিয়ে)।’

তারকাদের জীবন, প্রেম বিয়ে নিয়ে সাধারণ আম আদমির আগ্রহ থাকে বৈকি। আর তারকারা নিজেই যখন নিজের প্রেম, বিয়ের গল্প শোনান, তখন তা শুনতে কার না ভালো লাগে! সম্প্রতি গায়িকা মেখলা দাশগুপ্তের পডকাস্টে এসে তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর তাঁর সম্পর্ক তৈরি ও বিয়ের গল্প শোনান জনপ্রিয় কীর্তন গায়িকা অদিতি মুন্সি।

প্রেম ও বিয়ের প্রসঙ্গ প্রথমে তুলে আনেন সঞ্চালিকা গায়িকা মেখলাই। প্রশ্ন ছিল ‘দেবরাজদার সঙ্গে পরিচয় কীভাবে? মেখলার এই প্রশ্নের জবাবে অদিতি বলেন, ‘পরিচয় টা ছিল না।’ এমন কথায় মেখলা পাল্টা বলেন, ‘কোথাও না কোথাও নিশ্চয় পরিচয় হয়েছিল।’ ফের অদিতি বলেন, ‘ওদের কোনও একটা অনুষ্ঠান ছিল, সেখানে আমি শিল্পী হিসাবে গাইতে গিয়েছিলাম। সেখানে সংবর্ধনা দিয়েছিল। সেই সংবর্ধনা একটু অন্যরকম। আমি আবার বাড়িতে এসে বলছি, বাহ! কী সুন্দর ফুলটা দিয়েছে। আমার আসলে ফুল খুব ভালো লাগে। ব্যস ওখানেই শেষ। এরপর আবার ফোন, আবার অনুষ্ঠান। আমি বললাম, ঠিক আছে। ভাবলাম, এ বেশ ফুলটা ভালো দেয়। এভাবেই দিওয়ালি চলে এল। দিওয়ালিই বললাম, কারণ, লেখা ছিল হ্যাপি দিওয়ালি। একদিন মা এসে বলল, কেউ একজন এসেছে, তোকে ডাকছে (ফিসফিস করে)। প্রথমে বললাম, যেতে পারব না। তারপর গিয়ে দেখলাম এক ঝুড়ি বাজি। সেখানে লেখা হ্যাপি দিওয়াল। ফ্রম দেবরাজ। তখন ভাবলাম কেন পাঠাল? এরপর আবার ওদের আরেকটা অনুষ্ঠান। আমি ভাবলাম আবার! অনুষ্ঠান না হয় ঠিক আছে, এত গিফট দেওয়ার কী আছে! একটা অনুষ্ঠানে বড়জোর কী দেয়, একটা উত্তরীয়, মোমেন্টো, সঙ্গে ফুল। এর বেশি কি কেউ কিছু দেয়! আমি ভাবলাম, এত্ত উপহার, তাও আবার বাড়িতে!’ অদিতির কথায় তখন মিটি মিটি আসতে শুরু করেন মেখলা।

মেখলা-অদিতি

এরপর অদিতির বাড়িতে উপহার হিসাবে এসে হাজির বড় ফ্রেমে বাঁধানো গায়িকার নিজেরই একটা ছবি। অদিতি বলেন, ‘বাপির আবার বেশ পছন্দ হয়েছে, মেয়ের এত বড় ছবি।’ ফের অদিতি বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠে, সাধারণত গুরুদেবের ছবি দেখতে অভ্যস্ত। নিজের ছবি থেকে চোখ সরিয়ে দেখি এত্ত বড় একটা নিজের ছবি। তখন আমার মনে হল, আমি কি বেঁচে আছি?' এমন কথায় বাধা দিয়ে মেখলা তখন বলেন, 'ধ্যাৎ' । ফের কীর্তন গায়িকা বলে ওঠেন, 'বিশ্বাস কর, এটা আমি একবর্ণ বাড়িয়ে বলছি না। তখন আমি বলছি এটা সরাও, আমার কেমন মনে হচ্ছে আমি বেঁচেই নেই। তারপর শ্রদ্ধাঞ্জলি লেখা। এবার ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ দেখে কী মনে হবে! এরপর ভাবলাম, এর প্রোগ্রাম আর নেওয়া যাবে না। তবে সবই কপাল (কপালে হাত দিয়ে)। আমাদের কিন্তু অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। এরপর দুই বাড়ি থেকে কথা হল…।’

এরপর অদিতি বলেন, ‘এরপর যখন জানলাম, তখন খুব ভয় লাগত।’ মেখলা ফের প্রশ্ন, ‘ভয় লাগলে বিয়ে করলে কেন?’ উত্তর ছিল, ‘বাড়ির কাছে, আর দেখে পলিটিশিয়ান, পলিটিশিয়ান বলে মনে হয়নি, ওদের দেখলে কেমন একটা ভয় লাগে না। তবে বিয়ের কথা হওয়ার পর কথা হয়েছিল দেবরাজের সঙ্গে…।’