কিসি কা ভাই কিসি কী জান ছবির শুরুটা মন্দ হলেও অবশেষে এই ছবির আয়ের পালে হাওয়া লেগেছিল শনি-রবি, কিন্তু সোমবার ফের খানিক পতন দেখা গেল ব্যবসায়। সলমন খান প্রমাণ করলেন তিনি এখন বক্স অফিসে ম্যাজিক করতে সফল। তাঁর ক্যারিশমা এখনও ফিকে হয়নি। ভক্তদের এখনও সুপারহিট ছবি উপহার দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি। তবে, ওই! সোমবার এই ছবির আয়ে বেশ বড়সড় পতন দেখা গেল। কিন্তু তবুও মোটামুটি আয় করেছে এই ছবি। চতুর্থ দিনে ভাইজানের ছবি ১০ কোটি টাকার কিছু বেশি রোজগার করল বক্স অফিসে।
ট্রেড অ্যানালিস্ট সাচনিলক জানিয়েছেন এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার চতুর্থ দিন অর্থাৎ সোমবার, ২৪ এপ্রিল বক্স অফিসে ১০.৫ কোটি টাকা রোজগার করেছে। অর্থাৎ চারদিনে এই ছবি মোট ৭৪ কোটি টাকা রোজগার করল। শুক্রবার এই ছবি ১৩ কোটি টাকা রোজগার করেছিল। তবে শনি, রবি অনেকটাই বেড়েছিল ব্যাবসা। সপ্তাহান্তে এই ছবি ২৫ এবং ২৬ অর্থাৎ ৫১ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। আর সোমবার ১০.৫ কোটি আয় করল এটি।
দেশে ৭৪ কোটি টাকা আয় করলেও বিশ্বজুড়ে এই ছবির আয় দেখলে কিন্তু এটা ১০০ কোটির গণ্ডি টপকে গিয়েছে। বলিউড হাঙ্গামার তরফে জানানো হয়েছে সোমবার এই ছবি ১০ কোটির বেশি রোজগার করেছে মানে এটা সোমবারের পরীক্ষায় পাশ করেছে। কিন্তু মাল্টিপ্লেক্সে এই ছবির আয় বেশ নজরে পড়ার মতো কমেছে। ফলে এই কথা মানতেই হবে যে সলমন খানের ছবিগুলো বক্স অফিসে যেভাবে পারফর্ম করে সেই অনুযায়ী এই ছবি মোটেই ভালো চলছে না। কোথাও গিয়ে যেন ফিকে হয়ে গিয়েছে। তবে যদি আবার মহামারি পরবর্তী সময় হিসেবে দেখা যায়, তাহলে কিন্তু এই ছবির এখনও পর্যন্ত ব্যবসা মন্দ হয়নি।
প্রসঙ্গত মহামারি আসার পর থেকে বলিউডের হাতে গোনা কয়েকটি ছবিই মাত্র বক্স অফিসে ভালো পারফর্ম করেছে। কিন্তু চলতি বছর যে যে ছবিগুলো মুক্তি পেয়েছে সেগুলো এখনও পর্যন্ত মোটের উপর ভালোই লাভ করছে। পাঠান তো ছক্কা হাঁকিয়েছিল মুক্তির পর। এই ছবি বিশ্বজুড়ে ১০০০ কোটির উপর কামিয়েছিল। অন্যদিকে রণবীরের তু ঝুঠি ম্যায় মক্কারও মোটের উপর ভালোই লাভের মুখ দেখেছিল। এই ছবিটি বক্স অফিসে ১৪৭ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো প্রতিদিন এখন এই ছবির প্রায় ১৬ হাজার করে শো চলছে। হিন্দিতে এখন কেবল মাত্র এই ছবিটিই চলছে। এই ছবিতে সলমনের সঙ্গে পূজা হেগড়ে, শেহনাজ গিল, রাঘব জুয়েল, প্রমুখকে দেখা যাচ্ছে।