অভিশপ্ত ৩১শে মে কেড়ে নিয়েছে কেকে-কে! দেখতে দেখতে এক বছর অতিক্রান্ত। গত বছর আজকের দিনেই কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে আচমকাই প্রয়াত হন বলিউডের বিখ্যাত গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। প্রিয় গায়কের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিল গোটা দেশ, অন্যদিকে রোষের মুখে পড়েছিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচি। নেপথ্যে তাঁর একটি ফেসবুক ভিডিয়ো।
৩০ ও ৩১শে মে পরপর দু'দিন কলকাতার দুই নামী কলেজের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন কেকে। কলকাতায় কেকে-র কনসার্ট নিয়ে তৈরি উন্মাদনা দেখে ফেসবুক ভিডিয়োয় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রূপঙ্কর। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করার চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই কলকাতার বুকে মৃত্যু হয় কেকে-র। তারপরই নেটমাধ্যমের কাছে ‘ভিলেন’ হয়ে ওঠেন রূপঙ্কর। তাঁকে বয়কটের ডাক ওঠে সর্বত্র। শুধু রূপঙ্করই নন, রোষের মুখে পড়েন রূপঙ্করের স্ত্রী-কন্যাও। সেই বিতর্কের জল গড়িয়েছে বহুদূর। ক্ষমা চেয়েও পাড় পাননি রূপঙ্কর। একাধিক প্রোজেক্ট হাতছাড়া হয়েছে রূপঙ্করের। একটি নামী কোম্পানির জিঙ্গল থেকে বাদ যায় রূপঙ্করের কন্ঠ।
কেকে-র মৃত্যুর এক বছর পরেও এই বিতর্ক কিন্তু মানুষ ভুলে যায়নি। তার প্রমাণ রূপঙ্করের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল। কেকে-র মৃত্যুবার্ষিকীতে ফের ট্রোল শুরু হয়েছে রূপঙ্করকে নিয়ে। কেউ লিখছেন, ‘হু ইজ রূপঙ্কর ম্যান?’ আবার কেউ ‘তোতলা গায়ক’ বলে আক্রমণ শাণাচ্ছেন। কেকে-এর মৃত্যুবার্ষিকীতে রূপঙ্করের ফোন বন্ধ। তবে এক সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন গায়কের স্ত্রী। এক বছর পর কতটা বদলেছে বাগচি পরিবারের জীবন? প্রবাহমান জীবনে সময় কি পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে?
চৈতালি বাগচি আনন্দবাজারকে অনলাইনকে জানান, ‘আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছি। তাই বরাবরই স্বাচ্ছন্দ্যর থেকে শান্তিই বেশি প্রিয়। সময়ের সঙ্গে সবটাই পরিবর্তনশীল। কেকে-এর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’ আপতত গান আর নাটক নিয়েই ব্যস্ত রূপঙ্কর। সঙ্গ দিচ্ছেন তাঁর স্ত্রী। রূপঙ্কর এবং চৈতালির নতুন নাটক ‘চাঁদমারি’ মঞ্চস্থ হবে খুব তাড়াতাড়ি, নাটকের রিহার্সাল চলছে পুরোদমে।
কেকে-র মৃত্যুর পর সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রীতিমতো ক্ষমা চেয়েছিলেন রূপঙ্কর। সেইসময় গায়ক বলে, ‘প্রয়াত কেকে সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কোনও বিদ্বেষ নেই। থাকার প্রশ্নও ওঠে না। আমি শুধু ওর কনসার্ট নিয়ে তৈরি হওয়া উন্মাদনা লক্ষ্য করে বলতে চেয়েছিলাম বাঙালি গায়কদের জন্যও আপনারা একইরকম দরদ দেখান।’