সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মৃত্যুর তদন্তে বৃহস্পতিবার সকালেই বোমা ফাটান রিয়া চক্রবর্তী। গত দু-দিনে সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছে রিয়ার মাদক যোগের খবর। বুধবারই রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এর কয়েকঘন্টার মধ্যেই এক সর্বভারতীয় চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিয়ে নিজের পক্ষ রাখবার চেষ্টা করলেন রিয়া। ‘ভিক্টিম কার্ড’ খেলবার চেষ্টা করছেন রিয়া, অভিযোগ নেটিজেনদের। টুইটারে রিয়ার এই সাক্ষাত্কারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সুশান্ত ভক্তরা, এমনকি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি।
এবার রিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। ছেলের মৃত্যুর জন্য রিয়ার দিকে আগেও আঙুল তুলেছেন সুশান্তের বাবা। এফআইআরে রিয়াকে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন কেকে সিং। তবে গত কয়েকদিনে সংবাদমাধ্যমে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে তারপর রিয়াকে সরাসরি ‘খুনি’ বলে উল্লেখ করলেন সুশান্তের বাবা। তিনি ভিডিয়ো বার্তায় কেকে সিং জানান, ‘রিয়া চক্রবর্তী আমার ছেলেকে বিষ দিচ্ছিল লম্বা সময় ধরে। ও একজন খুনি। তদন্তকারী সংস্থার অবিলম্বে ওকে এবং ওর সহকারীদের গ্রেফতার করা উচিত’।
সুশান্তের বাবার এই ভিডিয়ো বার্তা সম্পর্কে তাঁর আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন। বিষ অর্থে তিনি বলতে চেয়েছেন ড্রাগের কথা। বিকাশ সিং আগেও জানিয়েছেন, পরিবার প্রথমে ভেবেছিল প্রেসক্রাইব করা ওষুধের ওভারডোজের কারণে সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে। তবে রিয়ার মাদক যোগ সংক্রান্ত খবর সামনে আসবার পর গোটা ঘটনা পাল্টে গিয়েছে। রিয়াকে নিষিদ্ধ ড্রাগেরও ব্যবহার করত সে সম্পর্কে পরিবারের কোনও ধারণাই ছিল না। কারণ তাঁরা এই ড্রাগ সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে একেবারেই পরিচিত নয়। নিষিদ্ধ ড্রাগের ব্যবহার করলে রিয়ার উপর ‘খুন’ এর অভিযোগ আরোপ করা হবে সেকথাও জানান বিকাশ সিং।
এদিন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘ গত ২ দিনে মিডিয়া যা কিছু তথ্য সামনে এনেছে তাঁদের তদন্তে স্পষ্ট- রিয়া এবং গ্যাং সুশান্তকে ড্রাগ দিত এবং ওকে অচৈতন্য করে রাখত মাসের পর মাস, যাতে ওকে সহজে কন্ট্রোল করে রাখতে পারে। আর্থিকভাবে ওকে নিঃস্ব করবার চেষ্টা করেছে। পরিবারের সদস্যরা যাতে ওর সঙ্গে দেখা না করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করেছে রিয়া। যাতে কোনওভাবেও আমরা ওকে (সুশান্ত) উদ্ধার না করতে পারি’। অবিলম্বে রিয়াকে গ্রেফতার করবার আবেদন জানান শ্বেতাও।
শ্বেতা টুইট করেন, 'ভারত সরকারের এই বিষয়টি দেখা উচিত যাতে একজন মূল অভিযুক্ত কোনওভাবেই এইভাবে পাবলিসিটি স্টান্টের জন্য সাক্ষাত্কার দিতে না পরে। গ্রেফতার করা হোক রিয়াকে'।
১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহয ২৫ জুলাই বিহারের রাজীব নগর পুলিশ থানায় রিয়া ও তাঁর পরিবারে বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, প্রয়তাের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা সহ একাধিক অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেন কেকে সিং। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।