গড়িয়ার ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিদ্ধার্থ রায়। কেমন আছে ক্যাকটাসের সিধুর পাড়া? কোভিড মোকাবিলায় কতটা সাফল্য কাউন্সিলারের? জল নিকাশি ব্যবস্থা কীরকম? পুরপ্রতিনিধি সুস্মিতা দামকে তাঁর কাজের জন্য ১০-এ কত নম্বর দিলেন তিনি? পুরভোটের আগে সিধুর মুখোমুখি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিনিধি অরুণাভ রাহারায়
প্রশ্ন: গড়িয়ার ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রান্তিক পাড়া কতটা ভাল আছে?
সিধু: ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের একটা অংশ প্রান্তিক। আমার পাড়া প্রান্তিক খুবই ভাল আছে। এ পাড়ায় জল সাপ্লাই নিয়ে আমি খুশি। এই নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। নিকাশি ব্যবস্থাও বেশ ভাল। যতই ঝমঝমে বৃষ্টি হোক, আমাদের পাড়ায় জল জমে না। জঞ্জাল পরিষ্কারের জন্য নিয়মিত সাফাইকর্মী আসেন। সাব পাম্পিং পয়েন্ট বসেছে। তাতে আমি বিশেষ ভাবে খুশি।
প্রশ্ন: তোমার বাড়ির কাছে পরিত্যক্ত জমিতে এখন গড়ে উঠেছে পুজো প্রাঙ্গণ। এ ব্যাপারে পুরপ্রতিনিধির সহযোগিতায় তুমি কতটা সন্তুষ্ট?
সিধু: পড়ে থাকা জমিতে পুজো প্রাঙ্গণ বানানো হয়েছে। জমির মালিকানা সরকারের পক্ষ থেকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই জমিটা আমাদের ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বানানো হয়েছে। কাজেই জবরদখলের কোনও ব্যাপার নেই। পাড়ার কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে জায়গাটাকে ডেভেলপ করতে পেরেছি। জায়গাটি এখন পুজো প্রাঙ্গণে রূপান্তরিত হয়েছে। এ ব্যাপারে পুরপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে খুবই সাহায্য পেয়েছি আমরা।
প্রশ্ন: রথতলার বাজার আরও ভাল করা নিয়ে পুরসভার কাছে তোমার প্রত্যাশা কী?
সিধু: এই বাজার এখন ওয়েল মেইনটেনন্ড। অনেক দিন বাদে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। ভেতরে ঢুকে দেখলাম খুবই পরিচ্ছন্ন বাজার। বাজার বলতে আমরা যেমন জল কাদা আবর্জনা ভাবি, এ বাজার সেরকম নয়। দেখেই মনে হল নিয়মিত সাফাই করা হয়। তবে সরকার আইন করতে চায় মানুষের জন্য, মানুষ সেই আইন কখনও ভেঙে ফেলে। এতকিছুর পরেও ফুটপাথে বেশ কিছু দোকান বসছে। সেগুলোর ওপরে কড়া নজরদারির প্রয়োজন। বাকিটা ভাল।
প্রশ্ন: বর্ষাকালে তোমার পাড়ায় দু-তিনটি জায়গায় জল জমে। এ ব্যাপারে আগামী পুরপ্রতিনিধির জন্য তোমার পরামর্শ কী?
সিধু: বিশেষ করে এনএসসি বোস রোডের একটা অংশে বৃষ্টি হলেই জল জমে। কিন্তু কেন জমে বুঝি না। কারণ, তার ঠিক পাশেই আদিগঙ্গার খাল। এত কাছে খাল থাকতে কেন সেখানকার নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক নয় সেটা আমার অজানা। এই নিয়ে পুরসভার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কিছু পাড়ায় জল জমার সমস্যা রয়েছে। আমার মনে হয় ড্রেনগুলো পরিষ্কার করলে অনেকটা সমাধান হবে। ড্রেনে প্লাস্টিক না ফেলাই ভাল সাধারণ মানুষের।
রামগড়ের ভেতর দিকে গিয়ে দেখেছি একটি আবর্জনা ভর্তি পুকুর রয়েছে। খুবই দুরবস্থা। ম্যালেরিয়া ডেঙ্গির জন্য একদম আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়ে রয়েছে! পুকুরটিকে জঞ্জালমুক্ত করার জন্য আগামী পুরপ্রতিনিধির কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে।
প্রশ্ন: পাড়াপ্রতিবেশির অভিযোগ করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট উদ্যোগী ছিলেন না ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুস্মিতা দাম। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সুস্মিতা দেবী। তোমার মত কী?
সিধু: আমার করোনা হয়েছিল। তাই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আমার কাছে সুস্মিতা দামের অফিস থেকে কোনও ফোন আসেনি। তবে অরূপ বিশ্বাসের দফতর থেকে ফোন এসেছিল। যেহেতু হায়ার অথরিটির ফোন পেয়েছি তাই হয়ত কাউন্সিলারকে আর ফোন করতে হয়নি। অরূপ বিশ্বাসের ফোন এসেছিল, খবর নেওয়া হয়েছে। বাড়িতে ঠিকঠাক থাকার জায়গা আছে কিনা খোঁজ নেওয়া হয়েছে। কোনও কোয়ারেনন্টাইন সেন্টারে যাওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা জানতে যাওয়া হয়েছে। পরে ভিটামিন, ফল ইত্যাদি পাঠানো হয়। গত বছর এই সময় আমার বাড়ির তিন জনের কোভিড হয়েছিল।
প্রশ্ন: তুমি একজন সেলেব্রিটি হয়ে এই সাহায্য পেয়েছ। তাহলে কি সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কোথাও একটু খামতি ছিল?
সিধু: হ্যাঁ আমারও তাই মনে হয়। কোভিড মোকাবিলা তো বটেই আমফান-ইয়াসের সময়ও পুরপ্রশসন আরেকটু তৎপর হতে পারত।
প্রশ্ন: ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সুস্মিতা দামকে তাঁর কাজের জন্য তুমি ১০-এ কত নম্বর দেবে?
সিধু: ৭.৫।