Samrat Mukherjee: বউয়ের ৩ বার গর্ভপাত করান! ‘মদ্যপ’ হয়ে গাড়ি চালানো সম্রাট কী যুক্তি দেন তা নিয়ে

সোমবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়াগাড়ি চালিয়ে এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সম্রাট মুখোপাধ্যায়ের উপরে। তিনি গ্রেফতারও হন। জানুন এই অভিনেতা সম্পর্কে-

সোমবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এক বাইক আরোহীকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে অভিনেতা সম্রাট মুখোপাধ্যায়ের উপরে। এমনকী তাঁর গাড়িতে মদের বোতলও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। তারপর তাঁকে গ্রেপ্তার করে বেহালা থানার পুলিশ। মঙ্গলবার  আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সূত্রের খবর, তিনি নাকি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। তবে নেটপাড়ার রোষ বেড়েছে, কারণ ধাক্কা মারা সেই বাইক আরোহীর অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। হাঁটু-কোমর ভেঙে গিয়েছে। ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে। 

বাংলা সিরিয়াল-সিনেমায় কাজের পাশাপাশি সম্রাট নিজের মডেলিং ও অভিনয় শেখানোর স্কুল খুলেছেন কলকাতায়। বছর দুই আগে স্ত্রী ময়নাকে নিয়ে সম্রাট হাজির হয়েছিলেন স্টার জলসার রিয়েলিটি শো ইস্মার্ট জোড়ি-তে। সেখানেই ফাস হয়, তিনবার গর্ভপাত করিয়েছেন এই দম্পতি। যা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সাফ কথা ছিল, তাঁরা সেইসময় বাচ্চা নিতে প্রস্তুত ছিলেন না একেবারেই। 

সম্রাটের থেকেসেইসময় জবাব এসেছিল, ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে সেক্স করার সময় অনেক প্ল্যানিং থাকে, বিবাহিত হলে তো অতটা থাকে না। সদ্য সদ্য বিয়ে করলে তো আর মানুষ অতটা সতর্কতা নেয় না। দ্বিতীয়বার আমরা ছোট ছিলাম, বুঝিনি প্রেগন্যান্ট হয়ে যাব। আর তৃতীয়বার আমরা কনট্র্যাক্টে ছিলাম যাত্রার, যে বাচ্চা নিতে পারব না ওই সময়ে।’

সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থনে জবাব ছিল, ‘এটাকে প্রাণ নষ্ট বলে মনে করি না। একটা প্রাণ যদি পৃথিবী অবধি আনি, সেটাকে প্রাণ বলি। আমরাও তো ডিমও খেয়ে ফেলছি, সেটাকেও তো আমরা প্রাণ বলে মানি না। সেরকমই এক্ষেত্রেও। একটা প্রাণকে পৃথিবীতে নিয়ে এসে তারপর তাকে সঠিকভাবে লালন-পালন করাটা দরকার। এখন আমার বাচ্চাকে আমি যে শিক্ষা, যে লাইফস্টাইল দিচ্ছি, তখন তা পারতাম না।’ বর্তমানে যদিও দুই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তাঁরা। 

গাড়ি দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানা যায়, বেহালা চৌরাস্তার দিক থেকে যাচ্ছিলেন টালিগঞ্জের দিকে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজা রামমোহন রায় রোডে মদনমোহনতলার কাছে, এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি। আর বাইকে থাকা মানুষটি তাতে ছিটকে গিয়ে পড়েন।

গুরুতর জখম বাইকআরোহীকে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বয়স তাঁর মাত্র ২৯। একটি আইসক্রিমের কারখানায় কাজ করেন এই ব্যক্তি।