গত সপ্তাহেই এক বছর পূর্ণ করেছে কোয়েল-নিসপাল পুত্র কবীর। তবে ছেলের প্রথম জন্মদিন, এমনকি অন্নপ্রাশন কিছুই সেলব্রেট করা হয়নি মল্লিক বা রানে পরিবারের তরফে। কবীরের জীবনের এই খুশি গুলোতে থাবা বসিয়েছে করোনার, আফসোস রয়েছে নতুন মা কোয়েলের। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে এই আনন্দগুলোর তুলনায় আরও জরুরি অনেক বিষয় রয়েছে, বিশ্বাসী অভিনেত্রী।
কোয়েল মল্লিক জানিয়েছেন, তাঁর অন্তঃসত্ত্বাদশার শেষ তিন মাস কেটেছে অতিমারীর আবহেই। গত বছর মে মাসে যখন দেশজুড়ে লকডাউন চলছিল, সেই সময়ই পৃথিবীর আলো দেখে কবীর। ছেলের জন্মের মাত্র দু-মাসের মাথায় জুলাই মাসেই কোভিড আক্রান্ত হন কোয়েল, নিসপাল, যদিও রক্ষা পেয়েছিল ছেলে। স্বাভাবিকভাবেই গত এক বছর কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে কোয়েলকে। সব মিলিয়ে এই জার্নিটা তাঁর কাছে এক ‘রোলার কো-স্টার রাইড’ মন্তব্য নায়িকার। নতুন মায়েদের বা অন্তঃসত্ত্বাদের এই মুহূর্তে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটা খেয়াল রাখা খুব জরুরি মনে করেন কোয়েল। তিনি বললেন, ‘আমি খুবই পজিটিভ মানুষ, এবং আমাকে কিছুই দমিয়ে দিতে পারে না। তবে মায়েদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটা খুব জরুরি- সেই কারণে আমি খবর থেকে দূরে তাকছি, গান শুনছি, ভজন শুনছি। কবীরও সেগুলো খুব এনজয় করে! করোনার জেরে একটা বিষয় ঘটেছে, কবীরের সঙ্গে আমি অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছি, সেটা না হলে পেশাগত বাধ্যবাধকতার জেরে এতটা সময় পেতাম না’।
কবীরের জীবনে মাইলস্টোন, যেমন- অন্নপ্রাসন, প্রথম জন্মদিন কিছুই সেলিব্রেট করা হয়নি, সেদিকটা মনে পড়লে কিছুটা মন খারাপ হয় কোয়েলের, তবে তিনি বললেন, ‘ওঁর জন্য গোটা জীবনটা পড়ে রয়েছে, সেলিব্রেট করবার সুযোগ আসবে। তবে এই মুহূর্তে পৃথিবীর সেরে উঠাটাই সবচেয়ে জরুরি’।
করোনার জেরে দাদু-দিদিমা কিংবা ঠাকুরদা-ঠাকুমার সান্নিধ্য সবসময় পাচ্ছে না কবীর, সেই অভাব পূরণের জন্য ভিডিয়ো কলই সহায় কোয়েলের।