কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। অক্ষরে অক্ষরে এই প্রবাদ বাক্য মেনেও চলে বাঙালি। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব উত্সবের সেলিব্রেশনে গা ভাসায় উত্সবমুখর বাংলা। ২৫ ডিসেম্বর, যিশুর জন্মদিন- আর এই উপলক্ষ্যে আজ শহর জুড়ে আলোর রোশনাই। ঘরে ঘরে সেজে উঠেছে ক্রিসমাস ট্রি। চলছে কেক খাওয়ার পর্ব, বাদ নেই সেলেবরাও। মে মাসেই মা হয়েছেন কোয়েল। ছেলে কবীরের জন্মের পর এটাই প্রথম ক্রিসমাস। তাই ছেলের সঙ্গেই আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন অভিনেত্রী। করোনা আবহে বাইরে যাওয়া রিস্কি, তাই ঘরের মধ্যেই কবীরকে সান্তাক্লজের বেশে সাজিয়েছেন কোয়েল।
কিংবদন্তির সান্তাক্লজ মানেই তো পরনে সাদা কলার ও কাফযুক্ত লাল কোট, সাদা কাফযুক্ত লাল ট্রাউজার্স, কালো চামড়ার বেল্ট ও বুটজুতো- তেমনই সাজে দেখা মিলল কবীরের। অন্যদিকে কোয়েল দুধে আলতা রঙের ইন্দো-ওয়েস্টার্ন গাউনে অনুরাগীদের ‘মেরি ক্রিসমাস’-এর শুভেচ্ছা জানালেন কোয়েল।
এদিন স্মৃতিমেদুর কোয়েল ফিরে গেলেন নিজের মেয়েবেলায়। ছোটবেলায় কেমনভাবে মায়ের হাত ধরে নিউমার্কেটে ক্রিসমাসের শপিং করতে যেতেন সে কথা শোনালেন নায়িকা। ক্রিসমাস ট্রি থেকে সেগুলি সাজানোর উপরকণ সবেরই কেনাকাটা চলত পুরোদমে।
কোয়েলের কাছে ক্রিসামাস কী? ‘ক্রিসমাস মানেই চারিদিকে আনন্দ, সান্তা আসবে… সবার স্বপ্ন পূরণ করবে। সান্তা সবার জীবনে রঙ ভরবে, ক্রিসমাস মানে আকাশে-বাতাসে প্রচুর মজা, প্রচুর আনন্দ। সবার জীবন খুশিতে ভরে উঠবে। একটা বছরের শেষ, নতুন বছরের শুরু…এই সব নিয়েই তো ক্রিসমাস', এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন কোয়েল।
ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কোয়েল জানান, তিনি সত্যি বিশ্বাস করতেন কোনও বুড়ো দাদু রয়েছে, মানে সান্তাক্লজ রয়েছে- যিনি ছোটদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার দিয়ে আসেন। মল্লিক পরিবারের আসল সান্তা কে, সেটা সম্পর্কে ভাই-বোনেরা জানলেও কোয়েলের নাকি বেশ বড় বয়স পর্যন্ত সেই সম্পর্কে আইডিয়া ছিল না। ২৪ ডিসেম্বর রাতে মায়ের কথা মতো প্রার্থনা করে ঘুমোতেন তিনি। পাশে রেখে দিতেন মোজা। আর সকালে উঠে দেখতেন উপহারে ভরে গিয়েছে সেটি। কোনওবার কম নয়, বরং উপরি উপহার আসত ঝুলিতে, জানালেন কোয়েল।
সান্তা যতই মিথ হোক না কেন, প্রার্থনা করাটা খুব জরুরি জানান কোয়েল। কারণ সবার জীবনেই সিক্রেট সান্তা রয়েছেন, যাঁরা আমাদের ইচ্ছাপূরণের কাণ্ডারি হয়ে ওঠেন। তাই সবার ভালোর জন্য প্রার্থনা জারি থাকুক।