গত ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বার মা হয়েছেন কোয়েল মল্লিক। ৪২ বছর বয়সে ফুটফুটে কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন নিসপাল সিং ঘরণী। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখন ভরা সংসার নায়িকার। মা হওয়ার পর কেটেছে প্রায় দেড় মাস, এতদিন ক্যামেরার সামনে আসেননি কোয়েল। কিন্তু শনিবার দুপুরে প্রকাশ্যে এলেন কোয়েল। এক ব্র্যান্ডের প্রচারমূলক ইভেন্টে পাওয়া গেল রঞ্জিত মল্লিক কন্যাকে। আরও পড়ুন-‘পোকাগুলো যদি শরীরটা ছিন্নভিন্ন করত…’, আরজি কর কাণ্ডে যাবজ্জীবন! লাফটার সেনের ‘বেগুন’ ভিডিয়ো বলল আপনার মনের কথা
গোলাপি সিল্কের শাড়িতে সেজে কোয়েল। তাঁর মুখের মিষ্টি হাসি অটুট। মা হওয়ার পর এতটুকুও ওজন বাড়েনি নায়িকার। আগের মতোই ছিপছিপে তিনি। এদিন হাসিমুখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন কোয়েল। মাতৃত্ব থেকে কাজে ফেরা নিয়ে দিলেন জবাব।
জন্মের পরপরই ছেলে কবীরের মুখ দেখিয়েছিলেন কোয়েল-নিসপাল। মেয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন জুটি। মুখ দেখানো তো দূরের কথা, এখনও মেয়ের নাম পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনেননি কোয়েল। চার বছরের ব্যবধানে দু-বার মা হয়েছেন। মেয়েকে নিয়ে কোয়েল বললেন, ‘সে বহাল তবিহতে আছে। খাচ্ছে, ঘুমোচ্ছে, একটু কাঁদছে আবার ঘুমোচ্ছে’ (হাসি)।
দ্বিতীয়বার মা হওয়ার তিনটি ছবির কাজ সেরেছিলেন কোয়েল, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘মিতিন মাসি’ ফ্রাঞ্চইসির তিন নম্বর ছবি, সোনার কেল্লায় যকের ধন এবং স্বার্থপর। কোয়েল বলেন, ‘নতুন স্ক্রিপ্ট শুনছি। আমি অলরেডি দু-তিনটে ছবি না বলে দিয়েছি। কারণ ওগুলো জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে শুরু করার কথা। আমি এত তাড়াতাড়ি ফিরতে পারব না। কিছুদিন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত থাকব।’
কবীর আর তাঁর বোনুকে সামলাতে গিয়ে নাজেহাল কোয়েল। বলেলন, ‘আমার বাবারা না অনেকগুলো ভাইবোন। বাবাকে বলি, বাবা কী করে? ঠাকুমাকে কোটি কোটি প্রণাম। তবে জীবন কিন্তু আগের চেয়ে সুন্দর হয়ে যায় (সন্তান আসার পর)। বাচ্চাকে শেখানোর জন্য এখন বেবি শার্ক আরও সব মুখস্থ করতে হচ্ছে। ছোটবেলায় আমরা হাট্টিমাটিম টিম, ইকির মিকির করতাম। কবীরের সময়ই আমি অনেক কিছু মুখস্থ করে ফেলেছি। এখন কম করতে হচ্ছে, জীবন আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়ে গেছে’।
আরও পড়ুন-সেক্স সিম্বল থেকে সন্ন্যাসিনী! 'বাধ্য হয়ে' অভিনয়ে, ড্রাগ লর্ডকে বিয়ে করেন মমতা?
ছেলে-মেয়ের বন্ডিং সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কোয়েল বললেন, ‘ওদের মধ্য়ে বন্ডিং হওয়াটা খুব প্রয়োজন। ও তো বোনকে পুতুল ভাবে মনে হয়। এইরকম এইরকম করে টিপে দেয় (হাতের ইশারায় গাল টেপা)। আমি বলি না….তবে আমি ওকে বোনকে চটকাতে দিই। শুরু থেকেই ও বলেছিল ওর বোনই হবে। আমরা বোঝাতাম, বোন হোক-ভাইহোক যেন সুস্থ হয়। বোন হওয়ার পর থেকে তো ওর আনন্দের সীমা নেই। খুব মজায় আছে’।