পুজোর ডঙ্কা বেজে গিয়েছে প্রায়। তবে শরতের পেঁজা তুলোর মেঘ নিয়ে আকাশ যেমন এখনও দেখা দেয়নি, তেমনই বাতাসের সেই পুজো পুজো গন্ধটাও মিসিং। ইতিউতি বাঁশ পড়ছে, প্যান্ডেল বানানোর কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু, এবছরের পুজো ভাইবসটাই আলাদা। নতুন জামা কেনার ভিড়ে জমায়েত না হয়ে, মানুষ ‘বিচার চাইতে’ ব্যস্ত।
কলকাতায় দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ থাকে, ‘বনেদি বাড়ি’গুলির দিকে। যার মধ্যে অন্যতম হল মল্লিক বাড়ি। যাতে সর্বক্ষণ থাকেন কোয়েল, রঞ্জিতরা। এবার ১০০ বছরে পা রাখছে এই পুজো। তবে এবার, সাধারণ মানুষের জন্য হয়তো আর খোলা হবে, এইবাড়ির দরজা।
এক সাক্ষাৎকারে কোয়েলকে বলতে শোনা গেল, ‘এবার এমন পরিস্থিতি যে যতটা আনন্দ করব ভেবেছিলাম, তা করাহবে না। মন থেকেই সেই আনন্দ আর আসছে না। তবে একটু হলেও আনন্দ করব। কারণ, এই ১০০ বছরটা তো আর আসবে না। আমাদের অনেক আত্মীয়রা আছেন পৃথিবীর নানা জায়গায়। তাঁরাও আসবেন। এবার হয়তো আমরা পুজোটা প্রাইভেট রাখারই চেষ্টা করব। শুধু পরিবারের মধ্যে রাখব।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, যবে থেকে এই জিনিসটি ঘটেছেন, তবে থেকে তিনি বিচারের প্রার্থনা করছেন। আর পাঁচজনের জন্য, তিনিও অধীরে অপেক্ষা করছেন জাস্টিসের জন্য। কোয়েলের দাবি, এমন কিছু হতে হবে, যাতে আর কোনও মেয়ে তিলোত্তমার পরিচয় না পায় ভবিষ্যতে। যারা এই ব্যাপারে যুক্ত, তাঁদের প্রত্যেকের যেন কঠোর শাস্তি হয়।
এবারের মহালয়ায় স্টার জলসা চ্যানেলের জন্য দুর্গা সেজেছেন কোয়েল। তবে পুজোতে তাঁর কোনও ছবি মুক্তি পাচ্ছে না আপাতত। গত বছরের দুর্গাপুজোয় মুক্তি পেয়েছিল মিতিন সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা 'জঙ্গলে মিতিন মাসি'। তৃতীয় ছবির নাম 'একটি খুনির সন্ধানে মিতিন'। যার শ্যুটে হাতে বড়সড় চোটও পান অভিনেত্রী। তবে পুজোর কয়েকমাস আগেই অবশ্য সব কাজ প্রায় সাড়া হয়ে গিয়েছিল।
তবে এবার অরিন্দম শীলের নাম যৌন হেনস্থার সঙ্গে জড়ানোর কারণে, বেশ জনরোষ তাঁকে ঘিরে। এই আবহে কোয়েলের সিনেমার মুক্তি নিঃসন্দেহে বিশ বাঁও জলে।