ইন্ডাস্ট্রিতে যে পুরোদমে স্বজনপোষণ অর্থাৎ নেপোটিজম বহাল তবিয়তে আছে, সে কথা খোলা গলায় জানালেন বলি-অভিনেত্রী কোয়েনা মিত্র। উল্লেখ করেছেন বলিউডের দলবাজির শিকার হওয়ার ব্যাপারেও। পাশাপাশি আরও জানালেন প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সুবাদে তাঁকে রীতিমতো একঘরে করে দিয়েছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।
দীর্ঘ বছর ধরে পর্দায় দেখা যায় না তাঁকে। এইমুহূর্তে বড়পর্দার কোনও কাজ হাতে নেই একসময়কার পর্দা কাঁপানো 'আইটেম নম্বর' সুন্দরী কোয়েনা মিত্র-কে। সেই প্রসঙ্গে আজ তককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোয়েনা একেবারে সপাটে বলেন, ' বলিউডে স্বজনপোষণ আছে ভীষণভাবে। রয়েছে দলবাজি। সেসবের শিকারও হয়েছি। সবরকমের আচরণ পেয়েছি। এক সময় সম্পূর্ণ বহিরাগত হয়েও বি-টাউনে দারুণ সব ছবির প্রস্তাব পেয়েছি, কাজ করেছি আবার যখন সবথেকে বেশি কাজের দরকার ছিল আমার তখন পাইনি। কোনও সহকর্মী সমর্থন করেননি আমাকে। সোচ্চারে আমার হয়েও গলা ফাটায়নি। এই অভিযোগ আমার আজও রয়েছে। থেকে যাবেও।'
প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন কোয়েনা। এবং সেকথা খোলাখুলি স্বীকারও করেছিলেন। কোয়েনার কথায়, ' সেটা সম্পূর্ণ আমার সিদ্ধান্ত ছিল। দিনের শেষে এটা তো আমার মুখ, আমার জীবন। লোকের এত সমস্যা কেন?' সামান্য থেমে 'আপনা সপনা মানি মানি'র নায়িকার সংযোজন, 'আমি জানতাম না বলিপাড়ায় সার্জারি করিয়ে সে ব্যাপারে মুখ খোলা নিষেধ। প্লাস্টিক সার্জারি নতুন কিছু নয়। তবে তা করে যে খোলাখুলি কথা বলা যায় না সেসব ব্যাপার একেবারেই মালুম ছিল না। তাই তো একজন জিজ্ঞেস করামাত্রই স্বীকার করে নিয়েছিলাম প্লাস্টিক সার্জারি করানোর কথা। ব্যাস! মনে হলো পুরো পৃথিবী আমার পিছনে পড়ে গেছে। সার্জারি করার পর তিন বছর ধরে ক্রমাগত মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল আমাকে। দেখলাম বলিপাড়ার অনেকেই আমার থেকে দূরত্ব রাখা শুরু করে দিলেন। আমাকে ঘিরে রাজ্যের নেতিবাচক খবর চলতে লাগল।'
একেবারে শেষে কোয়েনা মিত্রের বক্তব্য থেকে জানা গেল যাঁরা তাঁকে সেই কঠিন সময়ে শক্ত থাকার উপদেশ দিয়েছিলেন তাঁরাই নাকি সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর সমর্থনে টুঁ শব্দ পর্যন্ত করেননি।