কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে জ্যাকি শ্রফের জন্য ‘নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগতেন অভিনেতা অনিল কাপুর। অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে করণ জোহরের শো কফি উইথ করণের ১১ নম্বর পর্বে হাজির হয়েছিলেন অনিল। কফি উইথ করণ ৭-এর সর্বশেষ পর্বটি বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ডিজনি প্লাস হটস্টারে স্ট্রিম করা হয়েছে।
শো চলাকালীন, করণ জোহর তাঁদের স্বজনপ্রীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। অনিল কাপুর বলেন, ‘আমি এটাকে সিরিয়াসলি নিই না। আপনি শুধু আপনার কাজ চালিয়ে যান এবং আপনার কাজই কথা বলে। আপনি যদি একজন অভিনেতা হন তাহলে আপনি আপনার ভাই বা আপনার ছেলেকে হয় উত্তরাধিকার দিতে পারবেন নয়তো পারবেন না। ব্যস এতটুকুই বিষয়।’ আরও পড়ুন: মেয়ে নবন্যাকে নিয়ে সুইমিং পুলের জলে ডুব জিতের! ভক্তদের ছুঁড়লেন ফ্লাইং কিস
অনিল কাপুর আরও বলেন, ‘আমি যখন আমার কেরিয়ার শুরু করি তখন অবশ্যই সানি (দেওল) ছিলেন, সেখানে সঞ্জু (সঞ্জয় দত্ত) ছিলেন।’ করণ যখন জ্যাকি শ্রফের তুলতেই অনিল বলেন, ‘জ্যাকি একভাবে বহিরাগত ছিলেন কিন্তু তবুও তিনি পরিচিতি গড়েছেন। সুভাষ ঘাইয়ের প্রথম ব্রেক। তাই তিনি নিজেও একজন এ-লিস্টারের মতো হয়ে গিয়েছেন এক ঘোষণার পর। আমি ছোট্ট একটা রোল করেছিলাম দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতে। আমি একধরনের অনুভব করেছিলাম, এটা ভালো লাগছে না। তাহলে কেন?’ আরও পড়ুন: KBC 14: আমিতাভকে ৫০ লাখ টাকার প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যর্থ আনেরি! জানেন কী সেই প্রশ্ন?
করণ জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনার কী মনে হয়েছিল, জ্যাকি যিনি একজন ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের মানুষ ছিলেন না, একজন বহিরাগত যাকে সুভাষ ঘাই বিশেষাধিকার দিয়েছিল? আপনি কিছু অনুভব হয়েছিল...?’ উত্তরে অনিল বলেন, 'আমার এখনও এটাই মনে হয়। যেদিন আমি যশ চোপড়ার ছবিতে সই করি, আমার মনে হয়েছিল, 'ওহ এখন আমি ভালো আছি'। হোস্ট আবার জিজ্ঞেস করেন, ‘সেই সময়ে আপনি কি জ্যাকির সাফল্য নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছিলেন?’ অনিল পালটা বলেন, ‘আচ্ছা হ্যাঁ। তিনি বিরাট সাফলতা পেয়েছেন।’ আরও পড়ুন: ‘রাগে অনুরাগে’র কড়ি-কোমলকে মনে আছে! এখন কোথায় আছে টুম্পা ঘোষ জানেন?
অনিল একটি ঘটনা স্মরণ করে বলেন, 'আমার খুব মনে আছে। ও খুব মিষ্টি মানুষ ছিল। আমরা শ্যুটিং করতাম। যখনই তার কাছে কোনো অটোগ্রাফ বই আসবে, ও জানত ওঁরা ওঁর অটোগ্রাফ নেবে। কিন্তু (ইঙ্গিত করে জ্যাকি অটোগ্রাফ বইটি অনিলের দিকে পাঠাতেন) 'সই করো'।' আমি জানতাম যে আসলে ওঁরা সবাই ওঁর জন্য এসেছিল। কিন্তু ও আমার কাছেও পাঠাত। আমি সই করার পরই ও সই করত।'
অনিল এবং জ্যাকি একসঙ্গে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যেমন অন্দর বাহার (১৯৮৪), যুদ্ধ (১৯৮৫), কর্ম (১৯৮৬), কালা বাজার, কাভি না কাভি (১৯৯৮), রাম লখন এবং পারিন্দা (১৯৮৯), আ লাভ স্টোরি (১৯৯৪), ত্রিমূর্তি (১৯৯৫), এবং লজ্জা (২০০১)।