বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Oscar 2023: এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্সে কলকাতার যোগ! অস্কার জিতে কী জানালেন সঞ্চারী?

Oscar 2023: এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্সে কলকাতার যোগ! অস্কার জিতে কী জানালেন সঞ্চারী?

এলিফ্যান্ট হুইস্পার্সে কলকাতার যোগ

Oscar 2023: ৯৫ তম আকাদেমি পুরস্কার জিতল এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স। আর এই ছবির সঙ্গেই যুক্ত আছেন এক বাঙালি। কেবল বাঙালি নন, তিনি কলকাতার মেয়েও বটে।

থেপ্পাকাডু ক্যাম্পের দুই অনাথ হস্তী শাবকের উপর নির্মিত শর্ট তথ্যচিত্র দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স এবারের ৯৫তম আকাদেমি পুরস্কার পেল। তবে জানেন কি এই ছবির সঙ্গে যোগ আছে বাংলার, এক বাঙালির। কলকাতার মেয়ে, সঞ্চারী দাস মৌলিক এই তামিল ছবিটির সহকারী এডিটর ছিলেন। এদিন তিনি কার্তিকী গন্সালভেস এবং গুনীত মোঙ্গার সঙ্গে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গোটা বিষয়টা আর তাঁর কাছে 'হুইস্পার্স' নেই, বরং সেটা রীতিমত আনন্দ উল্লাসে পরিণত হয়েছে।

সঞ্চারী হলেন প্রথম কোনও বাঙালি যিনি বেভারলি হিলসের এই সম্মানীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অস্কার পেলেন।

বাংলার জন্য অন্যতম গর্বের দিন ছিল সেই দিনটি যখন সত্যজিৎ রায় এই সম্মানে সম্মানিত হন। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকার দরুন নিজে গিয়ে এই সম্মান নিতে পারেন না। লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে একটি ভিডিয়ো মেসেজ দেখানো হয়েছিল তাঁর যখন প্রেজেন্টার তাঁর নাম ঘোষণা করেছিলেন। এই ঘটনা ১৯৯২ সালে ঘটেছিল। এরপর মাঝে ৩১ বছর কেটে গিয়েছে। এবার আবার এক বাঙালি এই পুরস্কারে সম্মানিত হলেন। তাও তিনি নিন সেখানে উপস্থিত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

ডগলাস ব্লাশের সঙ্গে বসে সঞ্চারী প্রায় ৫০০ ঘণ্টার এই ফুটেজকে এডিট করেছিলেন। এখানে দেখা গিয়েছিল কীভাবে এক ভারতীয় জুটি তাঁদের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন দুটি অনাথ হস্তী শাবকের দেখভাল করার জন্য। এই ৫০০ ঘণ্টার ফুটেজ কেটে ওঁরা সেটাকে ৪০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্রে নামিয়ে আনেন। আর সঞ্চারীর সেই এডিট করা ছবিটিই শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসল। জিতে নিল বিনোদন জগতের এই সম্মানীয় পুরস্কার।

এই পুরস্কার জেতার পর সঞ্চারী টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, 'আমি এখনও মানতে পারছি না এটা। ঘোরের মধ্যে আছি যেন। এত নামী, সম্মানীয় ব্যক্তিদের মাঝে দারুণ উত্তেজিত বোধ করছি। সবটা ভীষণ সুন্দর লাগছে। বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না আমি কিছু।'

সঞ্চারীর মা, শুভা দাস মৌলিক তাঁর মেয়ের বিষয়ে বলেন, 'আমার ছোট্ট মেয়েটা অনেক বড় হয়ে গেল। আমি ওকে হোয়াটসঅ্যাপে ঝট করে একটা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি।'

সঞ্চারী সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর মাও একজন তথ্যচিত্র পরিচালক এবং সেন্ট জেভিয়ার্সের মাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান।

বন্ধ করুন