বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আটক হলেন বিজেপি নেত্রী-অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যয়।গড়িয়াহাটে বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় দেখা যায় তাঁকে। বাসচালক ও যাত্রীদের কাছে তিনি অনুরোধ করছিলেন যাতে তাঁরা বন্ধকে সমর্থন করেন। এমনকী অনুরোধ করছিলেন দোকানও বন্ধ রাখার। ঠিক তখনই আটক করা হয় তাঁকে। সেই সময় অভিনেত্রীকে হাতজোর করে অনুরোধ করতে শোনা যায়, ‘আমি আপনাদের হাতজোড় করে অনুরোধ করছি মারধর করবেন না।’
‘যে অন্যায় হয়েছে তাঁর প্রতিবাদ করুন’, রাস্তায় নেমে ‘শান্তিপূর্ণ’ আবেদন করছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বাস যাত্রীদের কাছে গিয়ে বলেন, ‘গুনুন কতজন পুলিশ আছে৷ মাত্র দশ মিনিট হেঁটেছি, তাতেই এই অবস্থা৷ একজন মহিলাকে এভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে এতজন পুলিশ।’ এদিকে, অভিনেত্রী বনধের সমর্থনে যখন গলা ফাটাচ্ছিলেন, তখনই আবার ওঠে ‘গো ব্যাক রূপা’ স্লোগান।
অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিতে পা রাখা রূপাকে বলতে শোনা যায়, ‘ম্যাডাম (এক মহিলা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে) আমরা কি ভাঙচুর করতে এসেছি? এটা আমার রাজ্য। এই রাজ্যে আমি বড় হয়েছি। আমি আপনার কাছে হাতজোর করে অনুরোধ করছি, মারধর করবেন না। তৃণমূল যদি নিজেকে মানুষনয় বলে প্রমাণ করতে চায়, তাহলে আমার কিছু করার নেই।’ রূপার আগে, অগ্নিমিত্রা পালকেও গড়িয়াহাট থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে, বুধবার রাজ্যব্যাপী ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি। সকাল থেকে বনধের ভালোই প্রভাব চোখে পড়েছে চারদিকে। একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বারাসতে। একাধিক স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করা হয়। এমনকী, মেট্রোর শাটার নামানোর চেষ্টাও করা হয়। এদিকে বন্ধ যাতে সার্থক না হয় তা নিশ্চিত করতে রাস্তায় নেমেছেন তৃণমূলের নেতারাও। হাওড়া ময়দান, হগলি, চন্দননগরে হাতাহাতি এই দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের। আর এসব মিলিয়ে বেশ নাজেহাল সাধারণ মানুষ।
এদিকে, রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সল্টলেকে ১০ নম্বর ট্যাঙ্ক থেকে সল্টলেক উইপ্রো মোড় পর্যন্ত এক মিছিল করে। সেখানে তাঁরা বাংলা বনধের সমর্থনে গাড়ি-বাস আটকানোর চেষ্টা করলে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনী বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আটক করে।তাদের মধ্যে বেশ কিছু কর্মী সমর্থকদের পুলিশ টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানেও তোলে।
এখানেই শেষ নয়, বনধের আবহে ভাটপাড়ায় চলল গুলি। প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।