কেকে বিতর্কে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন রূপঙ্কর বাগচি।শোনা যাচ্ছে, মিও আমোরের পর রূপঙ্করের গান না বাজানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে কলকাতার এক নামি রেস্তোরাঁ। তাঁদের রেস্তোরাঁয় এবার থেকে নাকি রূপঙ্করের আর কোনও গানই বাজানো হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যাদবপুরের ‘ভুতের রাজা দিল বর’ রেস্তোরাঁটি বিখ্যাত তার বাঙালি খাবারের জন্য। এছাড়াও অতিথিদের মনে ধরে রেস্তোরার অন্দরসজ্জা। ভিতরে চলে বাঙালি গায়কদের গাওয়া বাংলা গান। সেখানে নাকি রূপঙ্করের গান এবার থেকে আর বাজবে না।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে লেখা আছে, ‘জনস্বার্থ এবং মানুষের বিক্ষোভের কথা মাথায় রেখে রূপঙ্কর বাগচির গান না বাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে কেকে-র শেষ গান ‘ধুপ পানি বেহনে দে’! সৃজিতের ছবির ঝলক কাঁদিয়ে দিল সকলকে
আসলে কেকে মারা যাওয়ার পর রূপঙ্করের বলা ‘হু ইজ কেকে ম্যান’ নিয়ে প্রবল আপত্তি তোলে সোশ্যাল মিডিয়ার একটা অংশ। একজন শিল্পী হয়ে অপর শিল্পীকে অপমান মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। একইসঙ্গে বাংলার এই গায়কের কাছে হুমকি ভরা ফোন আসতে থাকে।
একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে দুঃখ প্রকাশ করেন রূপঙ্কর। সঙ্গে তিনি ঠিক কী অর্থ করে ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন সেটাও বিশ্লেষণ করেন। তবে এতে জনতার মন যে গলেনি। কিন্তু ‘ভুতের রাজা দিল বর’ রেস্তোরাঁর ঘটনা কী?
এই পোস্ট প্রসঙ্গে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সংবাদমাধ্যকে জানান, নোটিশটির সঙ্গে রেস্তোরাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। সেখানে কেবলমাত্র সত্যজিৎ রায়ের ছবির গানই বাজানো হয়। একজন শিল্পী কী বলেছেন, তার সঙ্গে রেস্তোরাঁর গান বাজানোর সিদ্ধান্তের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনও বিতর্কে জড়াতে চান না।
এটাও বলা হয়েছে, যে বিবৃতিটি ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি তাঁদের লেটারপ্যাডও নয়। কেউ রেস্তোরাঁর বাইরে এই ছবি লাগিয়ে দিয়েছেন।