আজ রবিবার, ছুটির দিনে দিঘার সৈকতে হঠাৎ দেখা মিলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নাহ, একটু ভালো করে খেয়াল করতেই বোঝা গেল ইনি আসল মমতা নন, পুরোটাই নকল। যাঁকে দেখা গেল, তাঁকেও সকলে চেনেন, ইনি হলেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। হ্য়ঁ ঠিকই বুঝেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যে ছবি তৈরি হচ্ছে, সেই 'সুকন্যা'র-ই শ্যুটিং চলছিল দিঘায়। ছবির পরিচালক উজ্জ্বল মিত্র। ছবিতে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায়। এই ছবিতেই রাজ্য পুলিসের ডিজিপির ভূমিকায় দেখা যাবে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে।
যদিও নির্মাতারা জানিয়েছেন এই ছবি আদপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োপিক নয়। এই ছবি এগোবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হওয়া সিঙ্গুর জমি আন্দোলন ও রাজ্য় সরকারের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’কে কেন্দ্র করে। এই ছবির কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রয়েছে একটি মেয়ে, যার নাম দুর্গা। গরিব পরিবারের মেয়ে দুর্গার আইপিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্নপূরণ হয় রাজ্য সরকারের প্রকল্প এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য পেয়েই। দুর্গার ভূমিকায় দেখ মিলবে শ্রেয়সী ঘোষের। ছবির গল্পে দেখা যাবে তৎকালীন বিরোধী নেত্রীর আন্দোলনে শামিল দুর্গার বাবা হঠাৎ একদিন উধাও হয়ে যান। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে কন্যাশ্রী প্রকল্পের হাত ধরেই বেড়ে ওঠে দুর্গা। এই ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর আদলে তৈরি কনীনিকার চরিত্রের নাম মায়া চট্টোপাধ্যায়। শহরের এক স্টুডিওয় ছবির শ্যুটিংয়ের পর সুকন্যা টিম সপ্তাহন্তে পৌঁছেছিল দিঘায়। সেখানেই মমতা হয়ে হাজির হয়েছিলেন কনীনিকা। তাঁকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন সৈকতের পর্যটকরা।

দিঘায় কনীনিকা

দিঘার সৈকতে কনীনিকা, সৌজন্যে সুকন্যার শ্যুটিং
প্রশাসনিক সফরে গিয়ে যে ভাবে রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক থেকে সাধারণ দোকানদারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জনসংযোগ সারেন, প্রশাসনিক বৈঠক করেন সে সবই দিঘা ও তাজপুরের শ্যুটিংয়ে উঠে এসেছে। শনি ও রবিবার বিকেলে নিউ দিঘায় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসনিক ভবনে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের দৃশ্য শুট করা হয় বলে খবর। শুটিংয়ের ফাঁকে সাংসদ শান্তনু বলেন, ‘রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প নেদারল্যান্ডে বিশ্ববন্দিত হয়েছে। এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ছাত্রী উপকৃত হচ্ছে। এই যুগান্তকারী প্রকল্পকে কেন্দ্র করেই তৈরি হচ্ছে সুকন্যা।’ চিকিৎসক থেকে রাজনীতি ঘুরে এ বার কি তাহলে অভিনয়ে? শান্তনুর সেন বলেন, ’এই জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্বপ্ন সফল হয়েছে। তাই পরিচালকের অনুরোধে ডিজিপির চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়েছি। তবে গোটা সিনেমায় কোথাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ব্যবহার করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নাম এখানে মায়া চট্টোপাধ্যায়।