সদ্যই প্রকাশ্যে এসেছে কথা ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো আর সেটা দেখেই হেসে কূলকিনারা পাচ্ছেন না নেটপাড়ার নাগরিকরা। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই দৃশ্য।
আরও পড়ুন: আলাম নন, হীরামান্ডির তাজের মন কেড়েছেন অন্য কেউ! লুকিয়ে লুকিয়ে কার সঙ্গে ডেটে গেলেন তাহা?
কী দেখানো হয়েছে কথা ধারাবাহিকের প্রোমো?
সদ্যই মারা গিয়েছে কথার মামা। তারপরই তার মন ভালো করতে তাকে নিয়ে পাহাড়ে বেড়াতে এসেছে এভি। পাহাড়ে এসে সন্ধেবেলায় একাকি জঙ্গলের কাছে পাহাড়ি খাদের কাছে বসে থাকে কথা। মামার কথা ভেবে কাঁদতে থাকে। একই সঙ্গে ভাবে তার পাচক মশাই অর্থাৎ এভি কি কখনও তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে? তখনই এভি এসে তাকে ডাকে। গায়ে একটা জ্যাকেট জড়িয়ে বলে, 'তোর কি মাথা খারাপ এই সময় পাহাড়ি জঙ্গলে একা বসে আছিস?' তখন কথা তাকে পাল্টা জিজ্ঞেস করে যে 'আপনি কি আমাকে কখনও স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন? তাহলে আমাদের কীসের সম্পর্ক?' উত্তর তাকে চুপ করিয়ে ভিতরে আসতে বলে এভি। তখনই জঙ্গলের মধ্যে দেখা মেলে তার। কার? চিতাবাঘের। সেটা দেখে ভয়ে হাড়হিম হয়ে যায় নায়িকার। এই বিপদ থেকে নায়ক তাঁকে কী করে উদ্ধার করে এখন সেটাই দেখার। এই প্রোমো ভিডিয়ো দেখেই হাসি থামছে না নেটপাড়ার।
কে কী বলছেন?
আসলে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে চিতা, ভাল্লুক, রেড পান্ডা আছে সকলেই জানে। কিন্তু তার দেখা খুব ভাগ্যবান না হলে মেলে না। আর সেখানে একবার পাহাড়ে গিয়েই চিতার দেখা পেল কথা আর এভি এটা ভেবেই হাসি থামছে না কারও, একই সঙ্গে খারাপ মানের ভিএফএক্স দেখেও হাসছেন অনেকেই। এক ব্যক্তি এই ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, 'কতটা ভাগ্যবান হলে দার্জিলিং গিয়ে চিতা দেখা যায়!' ইতিমধ্যেই এই ভিডিয়ো ১০ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে। শেয়ার হয়েছে কয়েকশ বার। এক ব্যক্তি লেখেন, 'দার্জিলিংয়ে গাঁজারও চাষ হচ্ছে নাকি আজকাল চায়ের সাথে।' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'ভাগ্যিস লেখা ছিল এই চিতাবাঘটি গ্রাফিক্সের নয়তো আমি তো সত্যি ভেবে এখনই টিকিট কাটতে যাচ্ছিলাম।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'শুধু চিতাবাঘ দেখা নয় লড়াই করে বউ কে বাঁচানো মুখের কথা নাকি।'
আরও পড়ুন: দাদুর স্বপ্নপূরণ করতে সারেগামাপার মঞ্চে আরাত্রিকা, নজরুল গীতিতে বিচারকদের মন জয় করতে পারবেন?
তবে কেউ কেউ গল্পের প্লটকে আবার সমর্থনও করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'দার্জিলিংয়ের জঙ্গলে শুধু নয়, জলপাইগুড়ির চা বাগান মনে চালসা, মালবাজার, নাগরাকাটা সহ এই সমস্ত জায়গার চা বাগানে চিতাবাঘ দেখা যায়। যদিও এখন খুব রেয়ার, আগে অনেক দেখা যেত বলে শুনতাম। নেওড়া থেকে শুরু করে বৈকুণ্ঠপুর পর্যন্ত সমস্ত ফরেস্ট এরিয়াটা ইন্টারকানেক্টেড।' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'এই চিতা দেখা না গেলেও কিছু অন্য প্রজাতির লেপার্ড দেখা যায়... এমনকি ব্ল্যাক প্যান্থারের একটা প্রজাতির দেখা পাওয়া যায়।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'প্রথমত চিতা আর চিতাবাঘ আলাদা। আর দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় চিতাবাঘ হামেশাই দেখা যায়। এখানে ভুল কিছু দেখায়নি কিন্তু যেভাবে দেখিয়েছে সেটা হয়তো হাস্যকর লাগছে।'