Shaheb-Sushmita: সারাক্ষণ আগলে রাখেন ‘ছোট্ট’ নায়িকাকে, সুস্মিতার উপর কেন রাগলেন সাহেব? মান ভাঙতে তৎপর কথা

গোবরদেবী আর পাচকমশাইয়ের অফস্ক্রিন রসায়ন নিয় চর্চা তুঙ্গে। এবার সাহেবের বাড়িতে হাজির সুস্মিতা। কী ঘটল সেখানে?

গোরবদেবী আর পাচকমশাইয়ের অনস্ক্রিন রসায়ন তো সুপারহিট। চর্চা পর্দার প্রেম নাকি বাস্তবেও গড়িয়েছে। সাহেব ভট্টাচার্য আর সুস্মিতা-দের প্রেম কাহিনি নিয়ে এখন ফিসফিসানির শেষ নেই। এর মাঝেই এক ফ্যাশন শ্যুটে ফের কাছাকাছি ‘কথা’ জুটি।

স্টার জলসার এই মেগা সিরিয়ালের সুবাদেই পরিচয় দুজনের। শুরুতে একদম অপরিচিত ছিলেন তাঁরা, সিনিয়র সাহেব একটু সমীহ করেই চলতেন নায়িকা। তবে সময় যত গড়িয়েছে ততই দুজনের খুনসুটি আর বন্ধুত্ব জমে উঠেছে। পর্দাতেও সেই বন্ধুত্বের ছাপ স্পষ্ট। সম্প্রতি এক বুটিকের হয়ে ফটোশ্যুটে ধরা দিলেন দুজনে।

লাল পাড়ে সাজানো সাদা পাঞ্জাবিতে রাজকীয় বেশে সাহেব, লাল শাড়িতে যেন রাজরানি সুস্মিতা। সঙ্গে জুঁইয়ের মালায় সাজানো চুলের খোঁপা, গলায় ঝোলা হার, কপালে ছোট্ট টিপ আর মানানসই মেকআপে ধরা দিলেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লেখেন, ‘তোমাকে ছাড়া এ আকাশ সাজে না…’। 

আজকাল কি তবে সুস্মিতার আকাশ সত্যি বেরঙীন সাহেব ছাড়া? অন্দরের খবর, এই ফ্যাশন শ্যুটের জন্য সময় বাঁচাতে সাহেবের বাড়িতেই রেডি হয়েছেন নায়িকা। ছেলের সহ-অভিনেত্রীর জন্য সাহেবের মা বানিয়ে দিয়েছেন কচুরি-আলুরদম, তৃপ্তি করে খেয়েছেন নায়িকা।

সুস্মিতা একটু ধুপধাপ পড়ে যান, সেই নিয়ে সারাক্ষণ গোবরদেবীর লেগপুল করেন সাহেব। দুজনের বয়সের ফারাক প্রায় এক দশকের। প্রয়োজনেই বকাঝকাও দেন সুস্মিতাকে। 

সোশ্যাল মিডিয়াতেও মিলল সেই প্রমাণ। পড়ন্ত সূর্যকে সাক্ষী রেখে নিজের একগুচ্ছ ছবি সোশ্যালে পোস্ট করেছে সুস্মিতা। ক্যাপশনে মহীনের ঘোড়াগুলির গানের লাইন ধার করে লেখেন, ‘আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি, দেখা যায় তোমাদের বাড়ি, তার নীল দেয়াল যেন স্বপ্ন বেলোয়ারি, তার কাঁচ দেয়াল যেন স্বপ্ন বেলোয়ারি…’। ছবির সঙ্গে এই গানের একটি কভার ভার্সনও জুড়ে দেন সুস্মিতা। 

সেই কভার ভার্সন মোটে পছন্দ হয়নি সাহেবের। তিনি তো হালকা বকেই দিলেন সুস্মিতাকে। লেখেন, ‘গানটা এরকমভাবে মার্ডার না করেও ছবিগুলো ভালো লাগতো….!!!’ নিজের ডিফেন্ডে নায়িকার জবাব, অন্য কোনও ভার্সন তিনি খুঁজে পাননি। ফ্যানেদের মনে অবশ্য অন্য প্রশ্ন, সুস্মিতার এই সুন্দর ছবিগুলো কে তুলে দিয়েছে? 

বেশিরভাগজনই নিশ্চিত এই ছবি সাহেবের তোলা। তবে যতই বকাঝকা, মশকরা চলুক। সুস্মিতার প্রশংসা করতেও ভোলেন না সাহেব। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সুস্মিতা তো খুবই হার্ডওয়ার্কিং মেয়ে। এখনকার জেনারেশনের অভিনেত্রীদের মধ্যে আমি দেখি ওর মধ্যে প্রচুর কাজের খিদে আছে ওর, ডেডিকেশনটা প্রচুর’।

অনির্বাণের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম ভেঙেছে সুস্মিতার। সাহেবের সঙ্গে বাস্তবেও কি বাঁধা পড়বেন? উত্তরটা সময় বলে দেবে, কিন্তু ওই কথায় আছে না যা রটে তার কিছু তো বটে!