১৭ মে, বুধবার জন্মদিন, তবে একদিন আগেই এই বিশেষ দিনের উদযাপন শুরু করে দিয়েছেন অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালেই পুজো দিতে গিয়েছিলেন দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে। তবে জন্মদিনের একদিন আগেই কেন উদযাপন? সেপ্রশ্ন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে কৌশানি জানান, 'আসলে প্রত্যেকবারই পুজো দিয়ে থাকি, অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করি, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা করি, তাই সবকিছু একদিনে পড়ে যায়, সেকারণেই এবার একদিন আগেই পুজো দিয়েছি।
১৬ মে মঙ্গলবার ঠিক কীভাবে কেটেছে? এপ্রশ্নে কৌশানি জানান, ‘সকালবেলা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গিয়েছিলাম, ওখানে মায়ের মন্দিরে ও জগন্নাথ দেবের মন্দিরে পুজো দিয়েছি। তারপর অল্পকিছু খাওয়াদাওয়া করি। এদিন ওখানে কয়েকশো মানুষের খাবারের আয়োজন করেছিলাম। গরমের কথা মাথায় রেখে খিচুড়ি, লাবড়ার তরকারি, আমের চাটনি, আর ঠাণ্ডা জলের বোতল মেনুতে রেখেছিলাম। পুরো পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে তো খাওয়ানো সম্ভব নয়, তাই যেখানে সেলিব্রেট করি, আমি সেখানেই সকলের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা রাখি। দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই আয়োজন চলে।' এদিকে কৌশানির ইনস্টাস্টোরিতে তাঁর দক্ষিণেশ্বরে পুজো দেওয়ার বেশকিছু ছবি উঠে এসেছে,সেখানে বনি-কৌশানির সঙ্গে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকেও দেখা যাচ্ছে।
কৌশানি জানান, 'আমি দুপুরে বাড়ি ফিরেছি, তারপর স্নান করে বনির সঙ্গে এখন লাঞ্চে যাচ্ছি। আর রাতে একটা হোটেলে সেলিব্রেশনের ব্য়বস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে পরিবারের লোকজন আর কাছের কিছু বন্ধুবান্ধব আসবে। আর কী কী পরিকল্পনা আছে সেখানে, পুরোটা আমার জানা নেই, কারণ এটা আমার জন্য সারপ্রাইজ।'
আর ১৭ মে আসল জন্মদিনের দিন কীভাবে কাটাবেন? এপ্রশ্নে কৌশানি জানান, ‘প্রত্যেকবার জন্মদিনে আমি অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করি, এবার সেটা বাড়িতেই করব। আর বাড়িতে দুপুরে বিশেষ খাওয়া-দাওয়া রয়েছে। আগে মা-ই আমার জন্য রান্না করতেন। তবে এখন তো মা নেই, তাই মাসি আমার জন্য পোলাও, মটন, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, চাটনি পায়েস, আর কিছু ভাজাভাজি বানাবেন।’রাতে একটা নাইটক্লাবে ইন্ডাস্ট্রির কিছু বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পার্টি আছে।' আর উপহার? কৌশানি বলেন, ‘প্রত্যেকবার আমি নিজেকেই নিজে উপহার দি, গতবার ব্যাগ দিয়েছিলাম, এবার হীরের দুল কিনেছি। বাবা আমার একটা হীরের আংটি দিয়েছেন, সেটা যদিও বানাতে দেওয়া আছে। আর বনির উপহার এখনও সারপ্রাইজ, ওটা পরেই জানতে পারব। আরও কিছু কাছের বন্ধুবান্ধবও উপহার পাঠিয়েছেন।’