এই বছরই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তাঁদের ছবির। কিন্তু সেই ছবি বক্স অফিসে আসার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন ওপার বাংলার তরুণ অভিনেতা শান্ত খান। বর্তমানে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে আছে বাংলাদেশ। হিন্দুদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না মন্দিরও। এমনকি খুন করা হচ্ছে সেদেশের সংখ্যালঘুদের। আর এই অশান্তিতে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদেরই অন্যতম হলেন শান্ত খান এবং তাঁর বাবা সেলিম খান। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর কী জানালেন অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়?
আরও পড়ুন: অভিনেতা না হলে সেক্স থেরাপিস্ট হতেন আমির! বললেন 'সঙ্গিনীকে খালি বলব কাছে এসো, বাকিটা...'
শান্ত খানের মৃত্যুর খবরে কী জানালেন কৌশানি মুখোপাধ্যায়?
কৌশানি মুখোপাধ্যায় এদিন এবিপি আনন্দকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান শান্ত খানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া কী। অভিনেত্রীর কথায়, 'একটা অল্প বয়সী ছেলে চলে গেল। এই মুহূর্তে এটার থেকে খারাপ খবর আর কিছুই হতে পারে না। ওর সঙ্গে আমার ভালোই কথা হতো। একটা ভালো বন্ধুত্ব ছিল। আমরা একসঙ্গে কাজও করেছি। ওর মধ্যে প্রবল ভাবে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। শ্রাবন্তীর সঙ্গেও ও কাজ করেছেন সামনেই আমাদের ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কাল এই খবর পেয়ে আমি খুবই ডিস্টার্বড হয়ে পড়ি।'
প্রসঙ্গত কৌশানি মুখোপাধ্যায় এবং শান্ত খান একসঙ্গে একটি ছবিতে কাজ করেছেন। সেই ছবির প্রচারের জন্য কৌশানির ওপার বাংলায় যাওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু তার আগেই এমন ঘটনা ঘটে গেল।
এদিন কৌশানি কথা প্রসঙ্গে আরও জানান, 'আমি ভীষণই শোকস্তব্ধ। ওর সঙ্গে অনেক ভালো স্মৃতি আছে। এভাবে মৃত্যু কারও প্রাপ্য নয়। এই খবরের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। খুব তাড়াতাড়ি ওকে হারিয়ে ফেললাম। বাংলাদেশের যে দৃশ্যগুলো প্রকাশ্যে আসছে সব দেখছি। আমি চাই বাংলাদেশে শান্তি আসুক।'
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ, ধর্মকে দুষে কঙ্গনা বললেন, 'ইসলামিক রাষ্ট্রেই এসব হয়...'
কী ঘটেছে বাংলাদেশে?
সোমবার, ৫ অগস্ট পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। আর তাঁর পদত্যাগের পরই অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। চলছে লুটতরাজ। হিন্দুদের বাড়িতে চালানো হচ্ছে আক্রমণ। বাদ গেলেন না জলের গান খ্যাত ফোক ব্যান্ডের গায়ক তথা বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দ। গত মাসে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। মাঝে সেই আন্দোলনের আঁচ কিছুটা স্তিমিত হলেও ধিকিধিকি জ্বলছিলই। পরে সেটা হাসিনার পদত্যাগ আন্দোলন হয়ে ওঠে। সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে বোনের সঙ্গে ভারতে পালিয়ে আসেন। তারপর সেদেশের গণ ভবন দখল করে নেয় উত্তাল জনতা। একই সঙ্গে শুরু হয় সেদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। হিন্দুদের বাড়ি ভেঙে ফেলা বা আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই নিয়ে ওপার বাংলার একাধিক তারকা সরব হয়েছেন।