'আবার প্রলয়'-তে 'মোহিনী মা' রূপে নজর কেড়েছিলেন নায়িকা, এবার তিনি ‘বহুরূপী’-তেও ফিরছেন একেবারে নতুন লুকে, 'ঝিমলি'-এর চরিত্রে। সোমবার 'বহুরূপী'-এর পোস্টার লঞ্চের অনুষ্ঠানে 'ঝিমলি' হয়ে ওঠার নানা খুঁটিনাটি জানান কৌশানী মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি 'আবার প্রলয়'-এর পরই যে তিনি 'বহুরূপী'-র জন্য ডাক পেয়েছেন, সে জন্য পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকেও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি নায়িকা।
পোস্টার লঞ্চের অনুষ্ঠানে মঞ্চে এসে প্রথমেই কৌশানী 'আবার প্রলয়'-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, 'সত্যি বলতে আমি বাড়িয়ে বলতে পারি না। দরকারের বেশি সত্যি কথা বলে ফেলি বলে আমার বদনামও রয়েছে ইন্ড্রাস্টিতে। 'আবার প্রলয়'-এর পর আমি প্রায় ৮ মাস কিছু কাজ করিনি। এর জন্য এমনও শুনতে হয়েছে যে আমি নাকি কাজ পাচ্ছি না। সেটা কিন্তু একেবারেই নয়। এর মাঝেও আমার কাছে অনেক কাজের অফার এসেছিল, কিন্তু আমি স্বেচ্ছায় সেইসব কাজ ছেড়ে দিয়েছি। কারণ আমার মনে হয়েছিল 'আবার প্রলয়'-তে আমাকে অন্যরকম ভাবে দেখে দর্শকরা যে ভালোবাসাটা দিয়েছিলেন, সেটা যেন আমার পরের ছবিতে একটু না কমে। 'আবার প্রলয়' আমার জন্য খুব বিশেষ ছিল। তারপর আসে 'বহুরূপী'-এর অফার।'
আরও পড়ুন: ‘ইচ্ছা করে ভুল উচ্চারণ করেছি’, বহুরূপীর ‘ঝিমলি’ হয়ে উঠতে শুধু লুকই নয় জিভও সামলাতে হয়েছে কৌশানীকে
'বহুরূপী'-এর অফার আসার পর তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল তাও ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, 'উইন্ডোজ থেকে ফোন পাওয়ার পর নিজের বিশ্বাস করতেই প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। আমার মনে হয় বাংলার প্রত্যেকটা অভিনেতা অভিনেত্রীর স্বপ্ন যে, তাঁরা একবার হলেও উইন্ডোজ প্রোডাকাশন হাউস ও শিবুদা (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়), নন্দিতাদি (নন্দিতা রায়)-র সঙ্গে কাজ করবে। আর আমার জন্য উপরি পাওনা ছিল শুধুমাত্র প্রোডিউসার হিসেবে নয়, আমি তাঁদের পরিচালক হিসেবেও পেয়েছি। শিবুদা, নন্দিতাদি প্রত্যেকটা দৃশ্য করার আগে আমাকে বুঝিয়ে দিতেন। ওঁদের সঙ্গে কাজ করতে করতে আমার ভালো করার খিদে আরও বেড়ে গিয়েছে। আমি সব দৃশ্যের শেষে একবার করে ওঁদের থেকে 'ভালো' শুনতে চাইতাম। কারণ, আমার মনে হত ওঁরা ভালো বললে দর্শকদেরও নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। এই ছবিতে ওঁরাই আমার ভগবান।'
আরও পড়ুন: ‘আয়না দেখে মনে হচ্ছিল, একটা অন্য মনামীকে দেখছি’, জানালেন পদাতিকের গীতা সেন
পাশাপাশি নায়িকা অভিনেতা শিবপ্রসাদেরও দারুণ প্রশংসা করে নায়িকা বলেন, 'এই ছবি থেকে আমার বড় পাওনা হল, শিবুদার বিপরীতে কাজ করার সুযোগ। ওঁর সঙ্গে কোনও সিন করার আগে সময় মনে হত এই দৃশ্যটা শিবুদা খেয়ে বেরিয়ে যাবে, তাই কোনও ভাবেই নিজের পারফর্মেন্স একটুও খারাপ হতে দেওয়া যাবে না। সব সময় একটা প্রেসারের মধ্যে কাজ করতাম।'