টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি হলেন কৌশিক সেন এবং রেশমি সেন। নাট্য জগৎ থেকে ছোট পর্দা, বড় পর্দা দুজনে বিনোদনের সমস্ত মাধ্যমেই নিজেদের ছাপ ফেলেছেন। অভিনেতাকে সদ্য দেখা গেল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই ছবিতে। কিন্তু জানেন কি এই দম্পতিকেও একটা সময় আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে? সম্প্রতি সেই বিষয়েই মুখ খুললেন কৌশিক সেন এবং রেশমি সেন।
আরও পড়ুন: 'বৈশাখী ভিলেন, তোমার ঘর ভেঙেছে', বলেছিলেন কল্যাণ! পাল্টি খেতেই রত্নার হুঁশিয়ারি, 'শেষ দেখে ছাড়ব'
কী জানালেন তাঁরা?
কৌশিক সেন এবং তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী রেশমি সেন সম্প্রতি সহজ কথা পডকাস্ট শোতে এসেছিলেন। সেখানেই অভিনেতা বলেন, 'আর্থিক সমস্যা আসে ১৯৯৮ সালে, যে বছর ঋদ্ধি হয়েছে সেই বছরটা আমার খুব খারাপ যায়। তারপর সেই খারাপ ফেজ আবার এই ২০১৯-২১ এ হয়েছে। আর সবথেকে খারাপ গেছিল যে বছর ঋদ্ধি জন্মেছিল। মানে ১৯৯৮। কাজ নেই মানে কাজ নেই।' কৌশিক সেন বিষয়টা ব্যাখ্যা করে বলেন, 'তখন আমি ছোট পর্দায় ভীষণ পরিচিত মুখ। কারও থেকে কাজ চাইতে পারছি না। কোনও কাজ নেই।'
রেশমি সেন তাঁকে মাঝে থামিয়ে বলেন, 'আমার কাজের পারমিশন নেই।' অর্থাৎ এখন তিনি খ্যাতনামা অভিনেত্রী হলেও, সেই সময় তাঁর অভিনয়ের অনুমতি ছিল না।
এরপর কৌশিক সেন ফের বলেন, 'ওর গয়না এক একটা করে চলে যাচ্ছে। এবং সেই গয়না থেকে থিয়েটারও হচ্ছে। আচমকা সেই সময় অগ্রগামী থেকে আমায় যাত্রার অফার দিল। ওই বছর যাত্রা সাইন করি। একটা সিজন করি।'
তবে এদিন কৌশিক সেন জানান বাধ্য হয়ে যাত্রা করলেও, তাঁর সেই অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো না। অভিনেতার কথায়, 'আমাদের বাড়িতে একটা সময় এমন ছিল যে বাবা যাত্রা করে উপার্জন করত। সেই পালাগুলো কি ছিল গণদেবতা, বন পলাশীর পদাবলী, ইত্যাদি। আমি যখন গেছি তখন যাত্রায় হিন্দি ছবির প্রভাব চলে এসেছে। ফলে ওটা খুব খারাপ অভিজ্ঞতা। কিন্তু আমাকে সেই বছর যাত্রাটা বাঁচিয়ে দিয়েছিল। ওই কঠিন সময়ের ফেজ শেষ হয় সন্দীপ রায়ের গোলাপি মুক্তার রহস্য ছবিতে একটা পার্ট করি। আবার তখন থেকে কাজগুলো ফিরতে শুরু করে। একটা বছর ভয়ানক খারাপ গেছিল।'