বিগত কিছু মাস ধরেই পরিচালক গিল্ড বনাম ফেডারেশন তরজা চলছে। সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত পরিচালকরা নাকি টেকনিশিয়ানদের সমস্যার কথা বুঝেবন না। তার জন্য ফেডারেশনকে প্রয়োজন। এদিন সেটারই জবাব দিলেন কৌশিক, পরমরা।
আরও পড়ুন: তুঙ্গে ঘর ভাঙার চর্চা, তার মাঝেই যিশু বললেন, 'আমি বিবাহিত, একজনকে নিয়েই খুশি...'
কী বললেন পরিচালকরা?
অনেকেই দাবি করেছেন যে আরবানায় বা কোনও বিলাসবহুল বাড়িতে থেকে দামী গাড়ি চড়ে নাকি পরিচালকরা টেকনিশিয়ানদের সমস্যা বুঝতে পারছেন না। তথাকথিত প্রিভিলেজ ক্লাসের হয়ে তাঁরা কীভাবে দেখেন এই সমস্যা অরিত্রস জ্ঞান পডকাস্ট শোতে জানালেন নিজেরাই। অনির্বাণ ভট্টাচার্য এদিন বলেন, 'আমরা যে অর্থনৈতিক অসাম্যের মধ্যে আছি, বা এই ইন্ডাস্ট্রি আছে, এখানে একজন ইলেকট্রিশিয়ান যে টাকা এবং একজন পরিচালক যে টাকা পান সেই অসাম্য আমরা গড়ে তুলিনি। এটার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা চলে আসবে। শিক্ষা, গঠনতন্ত্র, সরকার, এটা ওটা চলে আসবে। কিন্তু পাঁচতলা বাড়িতে থাকি বলে, গাড়ি চড়ি বলে ইন্ডাস্ট্রির যাঁরা অতটা প্রিভিলেজ নন তাঁদের নিয়ে কথা বলা যাবে না এটা আমার মনে হয় ঠিক নয়।'
তিনি এদিন আরও বলেন, 'তুমি ১৭ তলার বিল্ডিংয়ে বসে আছো, কেউ বাইরে দিয়ে সেই বিল্ডিংয়ের কাচ পরিষ্কার করছেন। সেটা দেখে তুমি বললে উনি যদি পড়ে যান তাহলে? তখন তোমায় যদি কেউ বলে ১৭ তলায় তুমি বসে কেন, দোতলায় অফিস করো। সেটা তো হতে পারে না।
১৪ ঘণ্টার শ্যুটিং হয়। ৪০ ফুট রোস্ট্রাম লাগানো আছে, তার উপর দুটো ৪কে তোলা আছে। তুমি জানো ওই ৪ টে ছেলে কখন বাড়ি যায়? আরও ৪ ঘণ্টা পর। সবসময় একটা রাজনৈতিক শক্তির গরিবের গরীব হয়ে থাকা ফোর্স লাগে চালিকা শক্তি হিসেবে যাতে বলতে বলতে পারে ওই দেখো ওরা বসে বিএমডাবলুতে আর তুমি শ্যুটিংয়ের পরেও কতক্ষন কাজ করছ।'
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'একটা ডাকাতিয়া বাঁশি হিট করা মানে, একটা সিঙ্গার, একটা শিল্পী, একটা শিল্পকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেয়। আজ ননীচোরা দাস যাঁর কোনও রেট ছিল না, তাঁর ডিসেম্বর কোনও ডেট নেই। ৭০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।'
এই প্রসঙ্গে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় সাফ সাফ জানান, 'কেউ এমনি এমনি এই জায়গায় পৌঁছয় না। অভিজ্ঞতা, অধ্যাবসায়, পরিশ্রম দিয়ে পৌঁছয়। রেজাল্ট দিলে পারিশ্রমিক বাড়ে। মালিকপক্ষ শ্রমিক পক্ষ করে একটা জামানায় যে ভুল করা হয়েছিল, সেটাই হচ্ছে।'