সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে কৃতী শ্যাননের প্রেম সম্পর্কের খবর একসময় মিডিয়ার শিরোনামে থেকেছে। তবে 'রাবতা' কো-স্টার কৃতীর থেকে কেন আচকাই দূরে সরে গিয়েছিলেন সুশান্ত,সেই উত্তর জানা নেই। তবে হ্যাঁ, বন্ধুত্বের রাবতা (সম্পর্ক) অটুট ছিল। সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন কৃতী তা অস্বীকার করবার কোনও জায়গা নেই। প্রয়াত অভিনেতার শেষযাত্রায় হাতে গোনা যে কজন সেলেব অংশ নেন তার অন্যতম কৃতী।
সুশান্তের মৃত্যুর পর ইনস্টাগ্রামে একটি সুদীর্ঘ বার্তা পোস্ট করে নিজের মনের ভিতরের জমাট বাঁধা আবেগকে তুলে ধরেছিলেন। এরপর এক আশ্চর্য নীরবতা। দীর্ঘ সময় পর সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন কীর্তি। জানালেন কী কারণে সুশান্তকে নিয়ে এতদিন চুপ ছিলেন তিনি।
‘একটা সময় আসে যখন চারিদিকে প্রচুর আলোচনা, চর্চা… আমি তার অংশ হতে চাইনি। কারণ মানুষ একটা সময় সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলেছিল। চতুর্দিকটা নেগেটিভিটিতে ভরে গিয়েছিল’, টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানান কৃতী।
তবে কৃতীর প্রার্থনায় শামিল সুশান্ত, নিজের মতো করে ‘বন্ধু’কে মনে রাখতে চান তিনি। সুশান্তের হাসিমাখা মুখের ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, 'এইভাবেই আমি তোমাকে মনে রাখব… শিশুর মতো হাসিমাখা মুখ… হ্যাপি বার্থ ডে সুস.. আমি আশা করছি দূরে কোথাউ তুমি হাসছো, শান্তিতে আছো'।
সুশান্তের মৃত্যুর পর দীর্ঘ বার্তায় কৃতী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাঁদের প্রেম সম্পর্কের, সুশান্তই তাঁকে দূরে ঠেলে দেন সেই কথাও উঠে এসেছিল। কৃতী লিখেছিলেন, ‘সুস.. আমি জানি তোমার উজ্জ্বল মন তোমার প্রিয় বন্ধু ছিল এবং সবচেয়ে বড় শক্রুও…কিন্তু তুমি যা করলে তা আমাকে পুরোপুরিভাবে ভেঙে দিল,তোমার জীবনে একটা মুহূর্ত এসেছিল যখন তোমার মনে হয়েছিল বেঁচে থাকার থেকে মরে যাওয়া ভালো। যদি তোমার সঙ্গে সেই সময় কেউ থাকত..সেই মুহূর্তটাতে, যদি তুমি সেই মানুষগুলোকে দূরে না ঢেলে দিতে যারা তোমায় ভালোবাসত'।
কৃতী আরও লেখেন, 'যদি আমি পারতাম তোমার ভিতর ভেঙে যাওয়া সেই জিনসটাকে জুড়ে দিতে…আমি পারিনি.. আমি অনেক কিছু চেয়েছিলাম…আমার হৃদয়ের একটা টুকরো তুমি নিয়ে গেলে, আর একটায় তুমি বেঁচে থাকবে..তোমার জন্য প্রার্থনা করা কোনওদিনও বন্ধ করিনি,কোনদিনও করব না…'।