প্রযোজক ছিল বেশ বড়সড়, ছবিও ছিল বেশ বিগ বাজেটের। তবু না বলেছিলেন কৃতি শ্যানন। কারণ? সেই ছবির জন্য প্রস্তাবিত তাঁর চরিত্রটি নাকি মোটেও তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তা শোনার পর নাকি অভিনেত্রীর ম্যানেজারকে শুনতে হয়েছিল, 'এঁর থেকে বেশি ভালো চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব পাওয়ার যোগ্যতা নেই কৃতির।' সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে মুখ খোলার পাশাপাশি ঠারেঠোরে কৃতি আরও জানিয়েছেন তিনিও একসময় নেপোটিজম-এর শিকার হয়েছেন। কীভাবে নির্বাচিত হয়েও শেষপর্যন্ত বাদ পড়েছিলেন সেই ছবি থেকে। তাঁর বদলে এক বড়সড় তারকার মেয়েকে নেওয়া হয়েছিল ওই ছবিতে!
২০১৪ সালে তেলেগু ছবি 'নেনোক্কাডিনে'র সুবাদে রুপোলি জগতে পা রাখেন কৃতি। ওই একই বছরে 'হিরোপান্তি' ছবির মাধ্যমে বলিউডেও আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর। এরপর 'দিলওয়ালে', 'বরেলি কী বরফি', 'লুক ছুপি', 'হাউজফুল ৪', 'মিমি'র মতো বহু সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ফেরা যাক বলি-সুন্দরীর সেই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে।
কৃতি বলেন, 'একবার বিরাট এক প্রযোজক সংস্থার তরফে একটি বিগ বাজেট ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। একাধিক বড় তারকারা ছিলেন সেই ছবিতে। তবে আমার চরিত্রটি তত্ত্বা গুরুত্বপূর্ণ মনে না হওয়াতে না করেছিলাম। সেই ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর অবশ্য ভারি ভালোমানুষ ছিলেন। আমাকে ফের জিজ্ঞেস করেছিলেন সত্যিই কি আমি সেই বিগ বাজেট ছবিতে কাজ করতে চাই নাকি আরও ভালো চরিত্র পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে রাজি। ফের না বলেছিলাম। এরপর আমার ম্যানেজারকে শুনতে হয়েছিল, 'এরকম চরিত্রের থেকে ভালো সুযোগ পাওয়া কৃতির যোগ্যতা নেই। ওঁর এই কাজটা করে নেওয়া উচিত।'
কৃতি নিজেও স্বীকার করেছেন কেরিয়ারের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি তাঁর পক্ষে। তাঁর কথায়, ' তেমন চূড়ান্ত বাজে ব্যবহারের সম্মুখীন হয়নি কখনও। তবে বহু ছবির জন্য অডিশন দিয়েছি একসময়। আর সেইসব অডিশন দিয়েছিলাম বলেই আজ আমি অভিনেত্রী হিসেবে হয়ত একটু একটু করে উন্নতি করেছি। এমনও হয়েছে নতুন মুখ নেবে বলে ছবির জন্য অডিশন নিয়ে শেষমেশ বড় কোনও তারকাকেই নেওয়া হয়েছে। সেসব ব্যাপারে যে তখন বিরক্ত হয়নি সেকথা বললে মিথ্যে বলা হবে।'