বলিউড তারকাদের সমালোচনা করে আলোচনায় থাকেন কামাল রশিদ খান ওরফে কেআরকে। গত বছর জেলের ভাত খেয়ে এই স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক শপথ নিয়েছিলেন ভাইজানের ছবির আর রিভিউ দেবেন না। কিন্তু বছর ঘুরতেই পাল্টি খেলেন কেআরকে! সলমনের ইদ রিলিজ ‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’-এর রিভিউ ভিডিয়ো পোস্ট করে নেটপাড়ায় হাসির খোরাক কেআরকে।
সলমনের সঙ্গে কেআরকে-র আইনি লড়াইয়ের কথা কারুর অজানা নয়। ছবির রিভিউ দিতে গিয়ে ভাইজান ও তাঁর পরিবারকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করায় কেআরকে-র নামে আদালতে মামলা ঠুকেছিলেন সলমন। গত বছর অগস্টেই মুম্বই এয়ারপোর্ট থেকেই বোরিভালি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন কেআরকে। বিতর্কিত টুইটের জেরে হাজতবাস হয়েছিল তাঁর, তাতেও বিশেষ হেলদোল নেই কেআরকে-র।
শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সলমনের ‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’। আর এই ছবি ইন্টারভাল পর্যন্ত দেখে (তেমনই দাবি কেআরকে-র) টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ‘দেশদ্রোহী’ ছবির নায়ক। সেখানে কেআরকে-কে বলতে শোনা গেল, ‘আমি এই মুহূর্তে জুহু পিভিআরে দেখছি, কিসি কা হাত, কিসি কি টাং। ইন্টারভাল হয়েছে আর আমি বাইরে এসেছি। এখনও পর্যন্ত এই ছবি কতটা খারাপ তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এই ছবি আমার অর্ধেক জান নিয়েই নিয়েছে। আমি তো সাহস করে দ্বিতীয়ার্ধ দেখব কিনা বুঝে উঠতে পারছি না’।
এরপর কেআরকে আরও বলেন, ‘তবে আমি ছবিটা পুরোটা না দেখে যদি রিভিউ করি, আপনারাই বলবেন আপনাদের ধোঁকা দিয়ে দিয়েছি। তাই আমি এই ছবি দেখে বেঁচে থাকব কিনা জানি না, তবে ছবিটা পুরোটা দেখব’।
সলমনকে ট্রোল করার উদ্দেশে বানানো এই ভিডিয়োর জেরে নিজের হাসির খোরাক হলেন কেআরকে। আসলে এই ভিডিয়োটি যে সবুজ স্ক্রিনে বা ক্রোমায় শ্য়ুট করা তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি নেটিজেনদের। তাই কেআরকে যে ‘ধোঁকা’ দিচ্ছেন সকলকে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন সলমন ভক্তরা। একজন লেখেন, ‘আরে ভাই ক্রোমা স্ক্রিনের ঠিকভাবে ব্যবহার তো শেখ, তারপর জ্ঞান দিবি’। অপর একজন লেখেন, ‘কে এই লোকটা, ব্যাকগ্রাউন্ডটা এডিট করা সেটা তো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে’। আরেক নেটিজেন ট্রোল করে লেখে, ‘আচ্ছা এই জুহু পিভিআর কি তোমার বাড়িতে নাকি?’
গত বছর জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে গত বছর কেআরকে টুইট করে জানিয়েছিলেন, তাঁর গ্রেফতারিতে সলমন খানের কোনও হাত নেই। এবং ভবিষ্যতে আর কখনও সলমনের ছবির সমালোচনা ভিডিয়ো পোস্ট করবেন না তিনি। যদিও নিজের কথা থেকে নিজেই সরে গেলেন কেআরকে।